সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদক ও ইলেকট্রনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ছেলে মেয়েরা মেধা কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছে: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশীষ খাঁ মারা গেছেন আবারও কমলো স্বর্ণের দাম আসছে তীব্র শীত, কমছে তাপমাত্রা সরাইলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিল শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক
আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী

আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকার পরও গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী। এতে স্থানীয় সচেতন নাগরিকসহ মামলার বাদীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও বিভিন্ন সভা সমাবেশে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরীর সরব উপস্থিতি থাকলেও পুলিশ বলছেন তিনি পলাতক।
জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের কবর বিনাশের চেষ্টার অভিযোগে তার ছেলে অ্যাডভেকেট সাইফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরীসহ ৮জন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালত।
এদিকে আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকার পরও শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈফ উদ্দিন চৌধুরীকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেননি। কিন্তু তিনি নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসা-যাওয়া করছেন। এছাড়াও তাকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু পুলিশের দাবি চেয়ারম্যানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মামলার বাদি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। উনার কবর উচ্ছেদের পায়তারা করছিল চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়েরাসহ একটি চক্র। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৮জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এরমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরীনও তার ভাইদের জামিন দেয়নি আদালত। গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও আজ উপজেলা পরিষদে এক সভায় এবং কয়েকদিন আগে পাশের ইউনিয়ন পরিষদে এক সভায় প্রকাশ্যে উপস্থিত ছিলেন সাইফ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি প্রকাশ্যে থাকলেও রহস্যজনক কারনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন,’ আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব নিয়মিত পরিষদে আসেন। আজও উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান সাহেব ও আমরা মেম্বাররা জেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সভায় ছিলাম।’
৬নং শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জাফর খাঁন বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব পরিষদে সব সময় আসেন। জনগণের সেবা দিতে উনি অনেক সময় পরিষদে শুক্রবারও থাকেন। বৃহস্পতিবারও তিনি পরিষদে ছিলেন সন্ধ্যা পর্যন্ত।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈফ উদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ( সরাইল সার্কেল) আনিসুর রহমান জানান, আমি যতটুকু জানি ওই ইউপি চেয়ারম্যান জামিনে নেই, তিনি পলাতক আছেন। তাকে দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com