আদালত প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রবাসী মোঃ শফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও অপর জনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন – নিহত শফিকুল ইসলামের সৎভাই জসিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম।
বৃহস্পতিবার (২৯আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের মরহুম ইদ্রিস মোল্লার ছেলে এবং মরিয়ম বেগম ইব্রাহিমপুর গ্রামের লাল মিয়ার কন্যা এবং নিহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের সাথে তার সৎভাই জসিম উদ্দিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর রাতে নিজ ঘরে জসিম ও মরিয়মকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন শফিকুল। পরে জসিম ও মরিয়ম দু’জন মিলে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে শফিকুলকে হত্যা করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যাকান্ডের পরদিন তড়িঘড়ি করে শফিকুলের লাশ দাফন করা হয়।
পরে এ ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর নিহতের খালাতো ভাই রাজন মিয়া বাদী হয়ে জসিম উদ্দিন ও নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতে হত্যা মামলাটি দায়েরের পর নবীনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন শরীফ মামলাটি তদন্ত করে মোট ৯ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহন করেন।
পরে আদালত মামলাটির অধিকতর পর্যালোচনা করে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমানিত হওয়ায় মামলার প্রধান আসামী মোঃ জসীম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত মরিয়ম বেগম আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ জসিম উদ্দিন অনুপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে আসামী জসীম উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
রায় শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী মোঃ রাজন মিয়া এবং বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ খান।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply