স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঘূর্ণিঝড়ে ১০টি দোকান লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাত ১১ টায় বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর বন্দর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান ব্যবসায়ীরা। রাত ১১ টায় ঘূর্ণিঝড়ে মনিপুর বন্দর বাজারের এমদাদ বারীর একটি মুরগীর দোকান, এনামুল হক মনা ওরফে ছোট মনার একটি কুড়া ও চালের গুদাম এবং মনিপুর বন্দর বাজারের শেখ হাসিনা সড়ক সংলগ্ন নেওয়াজ টেলিকম, ফায়েজ মিয়ার মুদি দোকান, একটি সেলুন , একটি টি স্টল ও আরো দুটি মুদি মনোহারি দোকান লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে মনিপুর বন্দর বাজারের ব্যবসায়ী নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ আক্রাম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ১০টি দোকান ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দোকান গুলোর ছড়িছিটিয়ে পড়ে আছে। এতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের এ ক্ষয়ক্ষতি থেকে পূণর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করছি।

এ ঘটনায় দুঃখ ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে বাজারের আরেক ব্যবসায়ী হৃদয় আহমেদ জালাল জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতে করে তারা পরিবার পরিজনের ভরণপোষণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পূণর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে পত্তন ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে মনিপুর বন্দর বাজারের ১০ টি দোকান লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান শাওন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ক্ষয়ক্ষতির শিকার ব্যবসায়ীদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি সরকারিভাবে ব্যবসায়ীদের কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করা যাবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।