সংবাদ শিরোনাম
রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকায় ৭০৮ জন সিডস ফর দ্য ফিউচারের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।। আহত-৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাঙামাটিতে পর্যটন ভ্রমণে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা ইবির সাবেক শিক্ষক ড. নকীব নসরুল্লাহ হলেন ইবির নতুন উপাচার্য নবীনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন।। আহ্বায়ক আরজু ও সদস্য সচিব আল আমিন শাহীন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় তালাক দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্ত্রী সুমা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রাসেল মিয়া-(৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এই দণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছোট মেয়ে সুমা আক্তার-(২৫) এর সঙ্গে রাসেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভরি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতেন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে একপর্যায়ে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যান।
এদিকে গত ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে তালাক দেন সুমা। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন রাসেল মিয়া। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সুমাকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তবে মৃত্যুর আগে সুমা হামলাকারী হিসেবে রাসেলের নাম বলে যান। এ ঘটনার পরদিন সুমা কুদ্দুস মিয়া বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমা তালাক দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল তাকে হত্যা করেন।
মামলার সব সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে সোমবার আদালত রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com