স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণআাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রাম ৬আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরীসহ পূর্বাঞ্চল সীমান্তের মাদক চোরাকারবারি ও চিহ্নিত আদম পাচারকারী হান্নান মিয়া ও তার সহযোগী নাঈম চৌধুরী সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ঘটনাটি জানাজানি হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে আখাউড়া সীমান্তের ভুনবন এলাকার ২০২২- ৭ এস পিলার
সীমান্তপথে ভারতে পাঁচারের চেষ্টাকালে বিজিবি জওয়ানরা তাদের গ্রেফতার করে।
বিজিবি সূত্র জানায়, আখাউড়া ফকিরমুড়া বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি টহল পরিচালনা করছিল। এসময় একজন ব্যক্তিকে ওই আদম পাচারকারীরা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পাচারের পথে বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল ধাওয়া করে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন-চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী (৭০), পূর্বাঞ্চল সীমান্তের মাদক চোরাকারবারি ও চিহ্নিত আদম পাচারকারী এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হান্নান মিয়া-(৪০) ও তার সহযোগী ধলেশ্বর গ্রামের নাঈম চৌধুরী-(৩০)।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র – জনতার বিক্ষোভে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ফজলে করিম চৌধুরী আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও রাউজান থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আখাউড়া থানা ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আখাউড়া সীমান্তের চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারি ও আদম পাচারকারী হান্নানের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে তৎকালীন সময়ে ক্রস ফায়ারের নির্দেশ ছিলো। আখাউড়ার এক প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় ও সহযোগিতায়, পরে সে অবৈধ সীমান্তপথে পালিয়ে ভারতে গিয়ে রক্ষা পান।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, মাদক কারবারি হান্নান তার এক মাদক মামলায় সেলিম মিয়া নামের এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে হান্নান মেম্বার সাজিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যায়। আদালতের সঙ্গে জালিয়াতি করে নকল সাজিয়ে (প্রক্সি) হাজিরা দিতে আয়নাবাজি করতে গেলে ওই দিনমুজুরকে আটক করা হলে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য বেরিয়ে আসে। সেলিম নিরপরাধী ব্যক্তি হয়ে অপরাধী সেজে কারাভোগ করেন। অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধী শীর্ষ মাদক সম্রাট হান্নান মেম্বার বুক ফুলিয়ে সীমান্তে সন্ত্রাসীসহ সব ধরণের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি’র) অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন শেষে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply