বিশেষ প্রতিবেদক //সময়নিউজবিডি
আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। দেশকে দূর্নীতিমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী অব্যাহত চেষ্টার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সারা দেশে দূর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে ইতিমধ্যেই সরকার দলীয় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন এবং প্রশাসনের অভিযানে অনেক দূর্নীতিবাজরা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন ও আত্মগোপনে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দূর্নীতি বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির পরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সবার চোখের সামনেই চলছে দূর্নীতির মহোৎসব। এ যেন মগের মুল্লুক। সেরেস্তার নাম করে প্রতিনিয়ত জনগনের পকেট কাটছেন সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সরকারি দপ্তরে যে কোন কাজের বিপরীতে রিসিটের মাধ্যমে ফি নেওয়ার কথা থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের জুনিয়র মোহরার মোঃ আব্দুল্লাহ সেরেস্তার নাম দলিল করতে আসা জনসাধারণের নিকট থেকে কোনরকম রিসিট ছাড়াই টাকা নিচ্ছেন। যার ভিডিও চিত্র রয়েছে সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম এর এ প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন দলিল লেখকের কাছ থেকে টাকা নিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ দলিল লেখক জানান, তিনি একটি বন্টন নামা দলিলের সরকারি ফি’র বাহিরে সেরেস্তা নামক ঘুষের টাকা দিচ্ছেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের জুনিয়র মোহরার মোঃ আব্দুল্লাহ নকল নবিশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করতেন। পরে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নকল নবিশ কমিটির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরে গত আনুমানিক ৪ বছর আগে নকল নবিশ থেকে জুনিয়র মোহরার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে টাকার বিনিময়ে স্বকর্মস্থলেই থেকে যান। যদিও সরকারি বিধি মোতাবেক কোন সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি পেলে অনত্র বদলীর নিয়ম থাকলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে থেকে যান স্বকর্মস্থলেই। এমনকি তার স্ত্রীকেও নকল নবিশ হিসেবে সিনিয়ারিটি লঙ্ঘন করে জুনিয়র মোহরার হিসেবে পদোন্নতি করিয়ে নিয়েছেন।
সূত্রটি আরো জানায়, একজন নকল নবিশ ১০/১৫ বছর কাজ করার পর সিনিয়ারিটির ভিত্তিতে মোহরার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী শিউলি আক্তারকে সিনিয়ারিটি লঙ্ঘন করে জুনিয়র মোহরার হিসেবে পদোন্নতি করার অভিযোগ রয়েছে। স্বামী স্ত্রী দুজনই একই দিনে নকল নবিশ থেকে জুনিয়র মোহরার হিসেবে পদোন্নতি পান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র এক নকল নবিশ জানান, সিনিয়ারিটি হিসেবে মোঃ আব্দুল্লাহ নকল নবিশ থেকে জুনিয়র মোহরার হিসেবে পদোন্নতি পেলেও আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী শিউলি আক্তার কে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আমরা তিন চারজন সিনিয়র নকল নবিশ কে বাদ দিয়ে জুনিয়র মোহরার হিসেবে পদোন্নতি ভাগিয়ে নেন আব্দুল্লাহ। তিনি আরো জানান, সবচেয়ে আশ্চর্যের ঘটনা হলো তারা স্বামী স্ত্রী ( আব্দুল্লাহ ও শিউলি আক্তার) দুজন কিভাবে একই দিনে পদোন্নতি পান এবং দুজনই একই কর্মস্থলে থেকে যান।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের দাবী দেশের বিভিন্ন সেক্টরের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ঘুষ অনিয়ম ও দূর্নীতি বন্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন সহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অভিযান চালানো হউক।
মোহরার মোঃ আব্দুল্লাহ ও ইয়াছিনের ঘুষ অনিয়ম এর আরো বিস্তারিত আসছে পরবর্তী প্রতিবেদনে। জানতে চোখ রাখুন সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম এ।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টোয়েন্টিফোর।
Leave a Reply