স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তুর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন আরাফাত (১২), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২), হবীগঞ্জের বানিয়াচংয়ের সোহামনি (৩), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫), চাঁদপুরের হাইমচরের কাকলী (২০), হবিগঞ্জের রিপন মিয়া (২৫), চাঁদপুরের হাইমচরের মরিয়ম (৪), নোয়াখালীর মাইজদির রবি হরিজন (২৩), চাঁদপুর সদরের ফারজানা (১৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পিয়ারা বেগম (৩২)।
স্বজনদের মাধ্যমে নিহত ১৬ জনের পরিচয় সনাক্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
নিহতদের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে ১০ জন, জেলা সদর হাসপাতালে আনার পর দুজন, কসবায় তিনজন ও কুমিল্লায় মারা গেছেন একজন।
এদিকে ঘটনাস্থলের পাশে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের অস্থায়ী ক্যাম্পে ১০টি মরদেহ রাখা হয়েছে।
তাছাড়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৪২ জনকে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে অনেক আহতের স্বজনরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে রেললাইন থেকে বগি সরানোর কাজ করছে দু’টি রিলিফ ট্রেন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোররাতে সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনের লুকোমেটিভ মাস্টার (চালক) ধাক্কা দিলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক তূর্ণা এক্সপ্রেসের লুকোমেটিভ মাস্টার ও সহকারী লুকোমেটিভ মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply