নাজমুল ইসলাম, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
গত ১৬ জানুয়ারি ২০২০ইং (বৃহস্পতিবার) রাতে কুড়িলে অবস্থিত হোটেল প্রগতি ইন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভাটারা থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের আইডি, একটি নোকিয়া মোবাইল, একটি আইফোন, ১৯ লাখ টাকা ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই ভাটারা থানায় মামলা নং-৩১ (১৬-০১-২০২০), ধারা ১৭০/৪৬৭/৪৬৮ /৪৭১/১৭১ ও মামলা নং-৩৫, ধারা ৪০৬/৪১৯ /৪২০, তারিখঃ ১৯/০১/২০২০ইং রুজুক্রমে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান জানান, গত ১৪ জানুয়ারি হোটেল প্রগতি ইনে পুলিশের আইডি কার্ড দেখিয়ে এএসপি পরিচয়ে রুম ভাড়া নেয় অভিযুক্ত রাহুল ঘোষ। পরে ১৬ জানুয়ারি হোটেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া চাইতে গেলে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকে। সন্দেহ হলে ভাটারা থানা পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ হোটেল প্রগতি ইনে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তের পরিচয় জানতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে হোটেলে অবস্থান করছেন বলে স্বীকার করে এবং মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই বেলাল ভূইয়াকে।ভুয়া এএসপি রাহুল বানিয়াচং উপজেলার ১৫নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বিথঙ্গল গোয়ালহাটি সুদি ব্যবসায়ী অজিত ঘোষের পুত্র।
এদিকে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেক্সের অনুসন্ধানে প্রকাশ, রাহুল কয়েক মাস পূর্বে হবিগঞ্জ বানিজ্যিক এলাকার উত্তরা কমপ্লেক্সের সংলগ্ন পূর্বে পুরান মুন্সেফীতে ৯০ লক্ষ টাকায় একটি ৩তলা অট্টালিকা ক্রয় করে ওই ভবনটিকে ৫তলায় রূপান্তরিত করেন। এই সংস্কার কাজে ব্যয় হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা। তার পিতার নামে এই “অজিত ভবন” হিসাবে নামকরণ করা হয়। সুরম্য অট্টালিকাটি বাংলাদেশ পুলিশের ডিজাইন ও রংয়ে দৃশ্যমান রয়েছে। যে কেউ দেখলে মনে হবে এটি পুলিশের কোন উধ্বতন কর্মকর্তার বাড়ী।ভুয়া এএসপি রাহুল গোপ নিয়মিত হবিগঞ্জ যাতায়াত করতেন (পুলিশ ডিএমপি/পুলিশ এসএমপি) স্টিকার সম্ভলিত একটি বিলাশ বহুল গাড়ীতে। জানা গেছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মেহজামিন মেরিন কে বিয়ের নামে প্রতারণা সহ ১২ টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply