স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি

যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ফুলেল শ্রদ্ধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১১ ছাত্রলীগ নেতা সহ ১২ জনের ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাদের সম্মানে স্থাপিত স্মৃতি সৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। 
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মিসেস নায়ার কবির, তাজ মোঃ ইয়াসিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাজী মাহমুদুল হক ভুইয়া।

এসময় জেলা আওয়ামী, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
পরে নিহত ছাত্রলীগ নেতাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অপরদিকে স্মরণসভার পূর্বে আওয়ামিলীগ ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের সম্মানে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত লুৎফুল হাই সাচ্চু এমপির মৃত্যুতে শূন্য হয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া -০৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের উপ-নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১১ ইং সনের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ জিয়ারত শেষে ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের ১১ জন ছাত্রনেতা সহ ১২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী আলম শান্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস আরিফুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসেন লিয়েন, মোর্শেদ আলম, শাহজাহান রহমতুল্লাহ রুমেল, অ্যাডভোকেট জিয়াউল আমিন রিয়াদ, শেখ রায়হান উদ্দিন, হাফেজ আবদুল্লাহ মাসুদ তানভীর, মোঃ ইমরানুর রেজা ইমরান, নুরুল আসিফ চৌধুরী ও মিজানুর রহমান। এর পরেরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোঃ আলমগীর। এদিকে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হোসেন পাভেল।                         

নিহত ছাত্রলীগ নেতাদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের সম্মানে সাংসদ মোকতাদির চৌধুরীর উদ্যোগে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার এলাকায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।             
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।