আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে মক্তবের হুজুরের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ রােজ শনিবার সকাল ৮টায় মক্তবের হুজুর দ্বারা এক ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার শিকার হয়েছে। ওই ঘটনায় ছাত্রীর পিতা মোঃ জামাল মিয়া বাদী হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে মক্তবের হুজুর মাওলানা তাজুল ইসলাম (৫০) কে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-১৪৯।
মামলা সুত্রে জানা গেছ, বাদীর মেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী। সে প্রতিদিন সকালে ওই হুজুরের কাছে কুরআন শিখতে মক্তবে যায়।ভিকটিম জানায় সে অন্যান্য দিনের মতো ওই দিনেও কুরআন শিখতে মক্তবে যায়। মক্তব ছুটি হয়ে গেলে হুজুর ভিকটিমকে তার রুমটি পরিস্কার করে দিয়ে যেতে বলে।এ সময় ভিকটিম রুম পরিস্কার করতে ভেতরে গেলে হুজুর ঘরে প্রবেশ করে তার পড়নের কাপড় খুলে শরীরের স্পর্ষকাতর স্থান সহ বিভিন্ন জায়গায় হাতাতে শুরু করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ।এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে পাশে থাকা অন্য একটি মেয়ে তা দেখে দৌড় গিয়ে ভিকটিমের পিতা জামাল মিয়া ও তার স্ত্রীকে জানালে, তাদের আসতে দেখে মাওলানা তাজুল ইসলাম দৌড়ে পালিয় যায় বলে জানায় ভিকটিমের পিতা মাতা। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রামে বেশ কয়েকটি শালীস বৈঠক বসে।গ্রাম্য শালীসে শেষ না হওয়ায় অবশেষে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতে মামলা করে ভিকটিমের পিতা মোঃ জামাল মিয়া। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে।
ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা তাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন,আমি দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে ধরমন্ডল চাকুরী করে আসছি।আমি যখন এ মক্তবে আসি, তখন এটি একটি খুড়েঁর ঘর ছিল। বর্তমানে এখানে দুটি বিল্ডিং তৈরী করে মসজিদ ও মক্তবের কাজ চলছে।সামনে আরাে একটি বাউন্ডারী নির্মান হচ্ছে।আমি ১৯ বার হজ্ব করেছি।আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার বিরাদ্বাচারণ করছে। ঘটনাটি সম্পুর্ন মিথ্যা, বানােয়াট ও ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবী করেন তিনি।
সরজমিনে এলাকায় গিয়ে ছাত্রীর দাদা মোঃ খেলু মিয়া,বাবা জামাল মিয়া,সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,ইউপি সদস্য মোঃ এরশাদ আলী, মোঃ জজ মিয়া, আবদুল হামিদ, টিপু মিয়া, উম্মেদ খাঁ, ছেলাম মিয়া, কামরুল ইসলাম রজবি, মিনু মিয়া,সর্দার বাহার উদ্দিন সহ আরাে অনেকেই জানায়, মাওলানা তাজুল ইসলামের এ রকম আরাে ঘটনা রয়েছে। তারা বলেন যার একবার হজ্ব করার ক্ষমতা নেই, সে কিভাবে ১৯ বার হজ্ব ও ওমরা করে। তাদের মতে, মাওলানা তাজুল ইসলাম একজন হজ্বের দালাল।তারা ছাত্রী ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় মাওলানা তাজুল ইলামের দৃর্ষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুারাে ইনভেষ্টিগেশনের এস.আই মোঃ মােস্তাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply