হুকুমনামা নিতে হয় শ্বশুড়ের কাছে,
মাথা নত, হাজারটা কারণদর্শানো
আর জবাবদিহি হয় করতে হয়
শ্বাশুড়ির কাছে,
বাবার বাড়ি যাওয়ায় পথে।
এ যেন মুক্তিপত্র, আজ্ঞালিপি!
হ্যা!
বাবার বাড়িই বটে।
নিজের বাড়ি! অদ্ভূত!হাস্যকর!
নিজের বাড়ি বলতে কোনো
কর্তৃত্ব নেই একজন মানবীর কাছে।
বাবার বাড়ি, ভাইয়ের বাড়ি,
শ্বশুর বাড়ি, জামাইয়ের বাড়ি!
এত বাড়ি থাকতে নিজের
বাড়ির কোনো আবশ্যকতা
আছে বৈকি নারীর! থাকতে নেই।
আশ্চর্য!
কি দরকার নারীর বাড়ির?
সব বাড়িই যে নারীর।
স্বামীর বাড়ি না হলে ;
বাবার বাড়ি,ভাইয়ের বাড়ি,
চাচার বাড়ি, মামার বাড়ি
অবলম্বন তো ঠিকই জুটবে।
তারপরও বাড়ি বাড়ি করা
নারীর সাধে?
নিভৃত বাস যদি না জুটে,
সে নারীর নিয়তি!
সে নারী নিজে কু, অশুভ,
অলক্ষীর অলক্ষুণে নিয়ে
পৃথিবীতে এসেছে বলেই।
তবুও নিবেদন, আর্জিঃ
এই অনিকেতন, নির্গৃহ,নিরাশ্রয়
রমণীর কোলে যে অনাগত
আত্মজা শিশুটি আসবে,
তার মাথার উপর ছাদ আর
পায়ের তলায় মাটি যেন থাকে।
লেখক- আফরোজা বেগম
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা
বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
Leave a Reply