বিশেষ প্রতিবেদক//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সাথে বিজয়নগর উপজেলার মানুষের বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাজার, সিঙ্গারবিল বাজার, আউলিয়া বাজার, মিলন বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকাযোগে জেলা শহরে যাওয়ার প্রধান নৌঘাট হলো আনন্দবাজার নৌকাঘাট। এছাড়াও জেলা সদর উপজেলার মজলিশপুর শ্যামপুরের মানুষও নৌকাযোগে জেলা শহরে এসে নামার একমাত্র ঘাট হলো আনন্দবাজার নৌকাঘাট।
জেলা সদর সহ বিজয়নগর উপজেলার প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ প্রতিদিন নৌপথে আনন্দবাজার নৌকাঘাট নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আসে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত জেলা শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ নৌকাঘাটে একটি মহল শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা এনে জায়গাটি ময়লার স্তূপের পাহাড় করে আনন্দবাজার নৌকাঘাট সংলগ্ন তিতাস নদীর একটি বিরাট অংশ ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছেন। যা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। এর ফলে ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে নাখ মুখ চেপে নৌকা থেকে উঠতে ও নামতে হচ্ছে যাত্রীদের। যাত্রীদের উঠানামার যে সিঁড়িটা আছে সেটাও ময়লা আবর্জনায় প্রায় অর্ধেকটা ভরাট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে মানুষের দূর্ভোগ ও ভোগান্তির শেষ নেই।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাটের আশপাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন। এতে ক্ষোভ দুঃখ প্রকাশ করে কখনো কেউ কিছু বললে প্রভাবশালীদের তোপের মুখে অনেকেই লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলার বাসিন্দা মুফতি রহিছ উদ্দিন আমিনী ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে জানান, এই ঘাটের দৈনন্দিনের চিত্র হল শহরের সকল বর্জ্য আবর্জনার স্তূপে পরিনত হওয়া। এ ঘাট দিয়ে দৈনিক হাজার হাজার মানুষ ময়লার দূর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে চলাচল করতে হয়। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাসে যখন গোটা দেশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিযোগিতা চলছে ঠিক এই সময়েও প্রায় দুই তিন লক্ষ মানুষের চলাচলের প্রবেশ মুখটি পরিস্কার রাখার কোন ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে না। এই ধরনের অবহেলায় বিজয়নগর উপজেলার সকল মানুষের অবমাননা ও অবমূল্যায়ন এর শামিল। সুতরাং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অনতিবিলম্বে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌঘাটটি থেকে সকল ময়লার দূর্গন্ধে দূর করার ব্যাবস্হা গ্রহণ করার জন্য। এটি বিজয়নগর উপজেলার সকল মানুষের প্রাণের দাবি আনন্দবাজার নৌকাঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী বলেন, বর্ষা মৌসুমে নৌকাযোগে প্রতিদিন আমার উপজেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষ জেলা শহরে আসেন। জেলা শহরে এসে উঠানামার একমাত্র প্রবেশদ্বার আনন্দবাজার নৌকাঘাটি ময়লা আবর্জনার স্তূপে বেহাল অবস্থা হয়েছে। ময়লা আবর্জনার দূর্গন্ধে নামেমুখে কাপড় দিয়ে চেপেধরে মানুষজন আসাযাওয়া করতে হয়। ঘাটটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে জেলা প্রশাসন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply