সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদক ও ইলেকট্রনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ছেলে মেয়েরা মেধা কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছে: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশীষ খাঁ মারা গেছেন আবারও কমলো স্বর্ণের দাম আসছে তীব্র শীত, কমছে তাপমাত্রা সরাইলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিল শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক
নবীনগরে ছাড়পত্র প্রদানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায়ের অভিযোগ

নবীনগরে ছাড়পত্র প্রদানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজে চলতি বছর এস.এস.সিতে পাশ করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) প্রদানের সময় ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

তবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তক্রমেই এই টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। 
খোঁজ নিয়ে  জানা গেছে, শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর ২২২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
অভিযোগ উঠেছে, এসএসসিতে পাশ করা ওই সব শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) আনতে গেলে, কতর্ৃপক্ষ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় অভিভাবক বলেন, নবীনগরের অন্য কোন স্কুলে ছাড়পত্র নেয়ার সময় এভাবে ১ হাজার টাকা করে নেয়া হয় বলে আমাদের জানা নেই। টাকাটা মাত্রাতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী  প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া স্কুল এন্ড কলেজ হওয়া স্বত্বেও কেন শিক্ষার্থীরা এই কলেজে না থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে এ কারণে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। 
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা সদরে অবস্থিত ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাউছার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ছাড়পত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ (দুইশত) টাকা করে নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ব্যাপারী বলেন, আমরা ছাড়পত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ (দুইশত) টাকা করে নিচ্ছি। 
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, ছাড়পত্র নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোন সরকারি নির্দেশনা নেই। এটি স্কুলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এর বাইরে আপাতত আমরা কিছু বলতে পারছি না। 
এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, গতমাসে 
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাড়পত্র বাবদ ১ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। 
এর পরও যদি কোনো শিক্ষার্থী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে মানবিক বিবেচনা করে ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা কম রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। 
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) খলিলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com