বিশেষ প্রতিবেদক, সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গুলি ও নগদ টাকা সহ এক স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) রাত ১০ টায় উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোসাহেদ হোসেন (দোয়াত কলম প্রতীক), মোঃ জাকির হোসেন ভুইয়া ( ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক) ও সিএনজি ড্রাইভার মোঃ মোশাররফ হোসেন।
আটককৃত ইঞ্জিনিয়ার মোসাহিদ হোসেন ভুইয়া উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের বড় ভাই ও নাছিমা মুকাই আলীর দেবর, জাকির হোসেন একই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের খলিল ভুঁইয়ার ছেলে ও অন্যজন সিএনজি ড্রাইভার মোশাররফ হোসেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০ টায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজবীর বাড়ি উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে যান উপজেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোসাহেদ হোসেন (দোয়াত কলম প্রতীক) ও আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া প্রতীকের) সমর্থক জাকির হোসেন ভুইয়া ও তাদের সিএনজি চালক মোশাররফ হোসেন। এসময় তাদেরকে রিভলবারের দুইটি গুলি, নগদ টাকা ও বিভিন্ন স্থানে দেওয়া টাকার তালিকার কাগজ সহ তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজবী জানান, আমার বাড়িতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়ার মেয়ে ও ছেলে সহ বসে কথা বলছিলাম। এসময় মোসাহিদের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের কে টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের ঘোড়ার পক্ষে কাজ করতে বলে অন্যথায় তারা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা তাদের তিনজনকে আটক করি। বাকীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ এসে তাদেরকে গুলি ও নির্বাচনে অবৈধভাবে টাকা দিয়ে ভোট কেনার টাকা সহ তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্জ্ব অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া বলেন, রাজবীর বাড়িতে আমার মেয়ে ও ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে নাছিমা মুকাই আলীর পক্ষে মোসাহেদ, জাকির সহ ৫/৬ জনের একটি দল আসেন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিনজনকে গুলিসহ আটক করা সম্ভব হলেও বাকীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমার পরিবার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশকে এ ঘটনায় নিয়মিত মামলার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ওসি তদন্ত সুমন কুমার আদিত্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি অবগত হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। এ বিষয় পুলিশের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আজ ১৮ জুন ২০১৯ ইং মঙ্গলবার পঞ্চম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply