স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মোঃ কুদ্দুস মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে। নিহত কুদ্দুস মিয়া ওই গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মহিবুলাহ ও তৈয়ব আলীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে মামলাও হয়। সম্প্রতি মামলার রায় তৈয়ব আলীর পক্ষে আসলে আদালত মহিবুলাহর একটি আধা পাকা টিনসেড ঘর অপসারণ করে তৈয়ব আলীকে বুঝিয়ে দেয়।
সম্প্রতি তৈয়ব আলী তার জায়গায় একটি ঘর নির্মাণ করতে গেলে মহিবুলাহর লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় তৈয়ব আলী বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মহিবুলাহকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উলেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
মামলার ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে তৈয়ব আলীর পক্ষের কুদ্দুস মিয়াসহ উভয়পক্ষের ১০/১২জন আহত হন। আহত কুদ্দুস মিয়াকে দ্রুত নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে কুদ্দুস মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মহিবুলাহর পক্ষের লোকজন বাড়ি-ঘর ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, মহিবুলাহ ও তৈয়ব আলীর মধ্যে সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের সময় তৈয়ব আলীর পক্ষের কুদ্দুস মারা যায়। তিনি বলেন, শুনেছি কুদ্দুস মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে কুদ্দুস মিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply