নূরুল বশর মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের আলোচিত অপরাধী, চিহ্নিত দালাল ও প্রতারক জালিয়াত আবুলু ও আব্দুর রহিম প্রকাল দালাল রহিম উভয়েই রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি গ্রামের একই এলাকার বাসিন্দা, উভয়ে বাল্যবন্ধু ও মাদ্রাসায় মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়ালেখা জানা। উভয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী থাকাকালেই ভূঁয়া মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে চাঁদার রশিদ বই ছাপিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে টাকা তুলে নিজেরাই প্রতারণাসহ আত্মসাৎ করত। নিজেদের এলাকার লোকজনের সাথে বিদেশ নিয়ে যাওয়া, পাসপোর্ট করিয়ে দেওয়া, চাকুরী পাইয়ে দেওয়া ও বিদেশে গৃহকর্মী পাঠানো ইত্যাদি নানা প্রলোভনে টাকা নিয়ে প্রতারণায় এবং মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের মত বিভিন্ন অপরাধের কারণে এলাকার লোকজনের রোষানলে পড়ে ২০১৩ সালে এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়ে জালিয়াত আবুলু ও দালাল রহিম কক্সবাজার শহরে আত্মগোগনে আশ্রয় নিয়ে কক্সবাজার আদালত পাড়াধীন কেন্দীয় জামে মসজিদ মার্কেটে প্রতারণার যৌথ অফিস খুলে বসে। এরপর থেকে শুরু হয় দুইজনের অপরাধ জীবনের যাত্রা।
আলোচিত আবুলু ও রহিম গ্রামের সহজ-সরল লোকজনকে বিদেশ পাঠানো, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠানো, পার্সপোর্ট ও ভিসা করে দেওয়া, যে কোন জটিল মামলায় আসামী জামিন পাইয়ে দেওয়া, বেকারদের প্রশিক্ষণ ও চাকুরী দেওয়া ইত্যাদি নানা প্রলোভনে টাকা নিয়ে প্রতারণা ও আত্মসাৎ করার পাশাপাশি মালয়েশিয়ায় মানবপাচার, অফিস- আদালতে ও পাসপোর্ট অফিসে দালালী, জাল-জালিয়াতি, নারী ও শিশু পাচার, লাম্পট্য, ধর্ষণ, নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে হত্যাচেষ্টা, অপহরণ ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় এবং ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসার মত জঘন্য সব অপরাধ কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালাতে থাকে। আলোচিত প্রতারক ও অপরাধী আবুলু ও রহিম দুইজনের বিরুদ্ধে বর্তমানে অর্ধ ডজনের মত আলোচিত মামলা সহ বহু অভিযোগ আছে॥ (চলবে)
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply