বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক, সুয়েটার, ডাইং, নিটিং এবং টেক্সটাইল খাতে বিদেশী বাণিজ্যিক ঋণের অর্ধেকের বেশি। প্রায় ১৬ শতাংশ ঋণ নিয়েছে প্লাস্টিক, সার্ভিস এবং ফার্মাসিটিক্যাল। তৈরি পোশাক খাত রফতানির সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ায় বিদেশী ঋণ পরিশোধে ঝুঁকি কম। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের আয় বৈদেশিক মুদ্রায় হয় না। এ কারণে ঋণ পরিশোধের সময় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এছাড়া বিদেশী বাণিজ্যিক ঋণে আরও কিছু ঝুঁকি থাকায় অধিকতর বিবেচনার তাগিদ দেন বক্তরা ।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘বিআইবিএম রিসার্চ এ্যালম্যানাক -২০১৯’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত ‘প্রাইভেট কমার্শিয়াল বোরোইং ফর্ম ফরেন সোর্সেস ইন বাংলাদেশ: অ্যান এনাটমি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক বিষয়ে ১৮ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। ২০১৮ সালে এসব গবেষণাপত্র আলাদা ভাবে সেমিনার, রিসার্চ ওয়ার্কশপ এবং রাউন্ডটেবল ডিসকাশনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী, গবেষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের জন্য সংক্ষিপ্তভাবে এক অনুষ্ঠানে এসব গবেষণাপত্রের প্রাপ্ত ফলাফল ও সুপারিশ সমূহ উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশ্¦ব্যাপী আর্থিক খাতে বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থাকায় ঝুঁকি অনেক কম। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থিক খাত অর্ন্তভুক্তিমূলক হয় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস. এম. মনিরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী।
Leave a Reply