স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকায় একটি রাস্তার উন্নয়ন কাজে চাঁদা দাবি করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপি নেতা মহসিন ভূঁইয়া গংরা। এ ঘটনায় রাস্তার উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার ফরহাদ হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর (চান্দুরা-সিঙ্গারবিল) সড়ক থেকে পশ্চিম দিকে শ্রীপুর পশ্চিম পাড়া ভুইয়া বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি পাকা করণে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় আরএককো প্রকল্পের ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। যা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাদ্দের এ কাজটি জেলা সদরের ভাদুঘরের বাসিন্দা মোঃ ফরহাদ হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোহেল এন্টারপ্রাইজকে বাস্তবায়নের জন্য দেওয়া হয়। পরে ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ইং তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোহেল এন্টারপ্রাইজ কাজটি শুরু করেন। যা চলতি জুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে শেষ করার কথা। কাজটি শুরু করার পর থেকে উপজেলা বিএনপি নেতা মুহসিন ভুইয়ার নির্দেশে শ্রীপুর গ্রামের যদু ভুইয়ার ছেলে মাদ্রাসা দপ্তরি হোসেন ভুইয়া ও তার ভাই হিরণ ভুইয়া তাদের এলাকায় রাস্তার উন্নয়ন কাজ করতে হলে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় কাজ করতে দেওয়া হবে না। এমনকি চাঁদা না দিয়ে রাস্তার কাজ করতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিয়ে রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের চলে যেতে বলেন চাঁদাবাজরা।
চাঁদাবাজদের হুমকিধামকির প্রতিকার ও তাদের শাস্তি দাবি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোহেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ ফরহাদ হোসেন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সোহেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা রাস্তার উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ পেয়ে কাজ শুরু করার কিছুদিন পরেই বিএনপি নেতা মুহসিন ভুইয়ার নির্দেশে হোসেন ভুইয়া ও হিরণ ভুইয়া রাস্তার কাজে বাঁধা দেন ও রাস্তার উন্নয়ন কাজ করতে চাইলে চাঁদা দিতে হবে, অন্যথায় কাজ করতে দিবে না। তিনি আরো জানান প্রকল্পের কাজ তিন মাসের মধ্যে করার কথা থাকলেও তিন পেরিয়ে গেলেও মুহসিন গংদের চাঁদা না দেওয়ায় সরকারি এ প্রকল্পটি আটকে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে প্রকল্পের অর্থ ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এতে করে আমার কমপক্ষে ৪ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আসফার সায়মা জানান, আমি ঠিকাদারের কাছনথেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply