সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে সামাজিক দুরত্ব বাজায় রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ ও জাতির পিতার প্রতি উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ, উপজেলা কৃষকলীগ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
বিকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এড নাজমুল হোসেন সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জয়নাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুগ্ন আহবায়ক জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এড আব্দুর রাশেদ।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান, মোঃ কায়কোবাদ, সৈয়দজ্জামান মাষ্ঠার, সায়েফ উল্লাহ ঠাকুর, মোঃ ঈসরাফিল প্রমূখ।
এছাড়া ও সরাইলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কার্যালয়ে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ সাবেক কমান্ডার ইসমত আলীর সভাপতিত্বে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা সৈয়দ তানবির হোসেন কাউছার, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা শেখ জাফর আহম্মদ মোজাহিদ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্ভব্য সভাপতি প্রার্থী পায়েল হোসেন মৃর্ধা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে ঘটনা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ৩রা নভেম্বরের জেল হত্যার ঘটনা ও ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রেগাথা। সেই সূত্রেই ১৫ আগস্ট ১৯৭৫, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন ৷ সেদিন তিনি ছাড়াও ঘাতকের বুলেটে নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
এছাড়া ও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন ৷ ১৫ আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল; পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি ৷ বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন ৷
দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা ৷প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply