সংবাদ শিরোনাম
রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের খসড়া তালিকায় ৭০৮ জন সিডস ফর দ্য ফিউচারের আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।। আহত-৫০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাঙামাটিতে পর্যটন ভ্রমণে তিন দিনের নিষেধাজ্ঞা ইবির সাবেক শিক্ষক ড. নকীব নসরুল্লাহ হলেন ইবির নতুন উপাচার্য নবীনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন।। আহ্বায়ক আরজু ও সদস্য সচিব আল আমিন শাহীন
খুলতে শুরু করেছে নাসিরনগরে রহমত আলী হত্যা মামলার জট

খুলতে শুরু করেছে নাসিরনগরে রহমত আলী হত্যা মামলার জট

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
অবশেষে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামের মৃত ফালান ফকিরের ছেলে রহমত আলী হত্যা মামলার জট খুলতে শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এর দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা খুনের মুটিভ উদ্ধার করতে কাজ শুরু করেছেন।
গত বুধবার সকালে মামলার অন্যতম আসামী আলমগীর চৌধুরীর ছোট ভাই মোঃ আমরুল কায়েস চৌধুরীকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে নিযে আসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা।
জানা গেছে, আমরুল কায়েস চৌধুরীসহ এ পর্যন্ত উক্ত মামলার তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। জেলহাজতে থাকা অন্য আসামীরা হলেন- ঐ গ্রামের মৃত শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে রকিব চৌধুরী ও রেনু মিযার ছেলে রোমান মিয়া।
জানা যায়, গত ২০ মে ২০২১ ইং তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১১টায় উপজেলার বুড়িশ্বর চানপাড়া গ্রামের মৃত নুরুর ইসলাম চৌধুরীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আলমগীর চৌধুরী ও তার লোকজন মিলে প্যাচাবাড়ির ফালান ফকিরের ছেলে মোঃ রহমত আলীকে নির্মমভাবে খুন করেন। পরদিন খুনের মামলা থেকে নিজে বাঁচতে চতুর আলমগীর নিজে ৮ নং সাক্ষী সেজে ২২ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৩, জি,আর মামলা নং- ৯৭। পরবর্তীতে আলমগীর চৌধুরী খুঁনের সাথে জড়িত বলে বাদীর সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। কিন্তু নাসিরনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জুলুস আহমেদ খান পাঠান আলমগীরকে গ্রেপ্তার করতে রাজি হয়নি। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বাদীর লোকজন আলমগীরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এসময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে আলমগীর চৌধুরী আহত হয়। পরে পুলিশ প্রহরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান আলমগীর। আলমগীর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা জানান, আলমগীরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সবসময় তৎপর রয়েছে। খুব শীঘ্রই এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মেচন করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com