সংবাদ শিরোনাম
সরাইলে মেঘনার ভাঙনের কবলে চার গ্রাম

সরাইলে মেঘনার ভাঙনের কবলে চার গ্রাম

সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মেঘনার ভাঙনের কবলে পানিশ্বর ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম। নদীর পানির স্রোতে পানিশ্বর ইউনিয়নের নদীর তীরবতর্ী ১৭টি চাতালমিল সহ পালপাড়া, শাখাইতি, দেওবাড়িয়া, লায়েরহাটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিছে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও অন্যত্র চলে গেছে কয়েকশত পরিবার ও বেকার হয়ে গেছে চাতালমিলের শ্রমিকরা। মেঘনার তীরের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় আরো শতাধিক পরিবার ও চাতালমিল ভাঙন আতংকে রয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য বছরের মত চলতি বছরের বষার্র শুরুতেই নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার মেঘনার তীরবর্তী পানিশ্বর ইউনিয়নের ৮টি পরিবারের বসতভিটা ও প্রায় ৫ একর জমির ধানসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ওসমান গণি চেীধুরী, ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া বলেন, কয়েক বছরে নদীর তীরবর্তী ১৭টি চাতালমিল সহ পালপাড়া, শাখাইতি, দেওবাড়িয়া, লায়েরহাটি গ্রামের বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে অচিরেই পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার ও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪টি গ্রাম পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদীর ভাঙন ঠেকানোর জন্য নদীর মাঝামাঝিতে খনন করা এবং বামতীর রক্ষার জন্য স্থায়ী বেড়িবাধ নিমার্ণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানান।
পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর বর্ষার শুরুতেই লায়েরহাটির ৮টি পরিবার সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহযোগিতা ও নদী ভাঙন থেকে এলাকা রক্ষা করার জন্য সরাইল উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পুরো জেলায় নদী ভাঙন রোধে একটি সমীক্ষা চলছে। পানিশ্বর এলাকায় কিছু করার চেষ্টা করছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com