মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে মাঠের সবজি, আমন ধানের বীজতলা ও আউশধানের চারাগাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষক। এছাড়া বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারের অবিরাম বৃষ্টির কারণে উপজেলার নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। ১০/১২জন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের বৃষ্টির কারণে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি কমলেও বেশির ভাগ সবজি খেত আর বাঁচানো যাবেনা। মৌসুমের এই সময়ে এমনিতেই সবজির কিছুটা অভাব থাকে। এর মধ্যে কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টি সবধরনের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। শনিবার উপজেলার কয়েকটা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে অধিকাংশ ফসল ও সবজি খেত তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি বন্ধ হলেও এসব খেতের সবজি অতিরিক্ত পানির কারনে নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া আমন ধানের বীজতলা ও আউশধানের চারাগাছ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে উপজেলার নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে এ উপজেলায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে তিন’দিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। বিশেষ করে রিকশা, ভ্যান গাড়ি, দিনমজুর ও ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে বৃষ্টির কারণে।আদমপুর ইউনিয়নের সবজি চাষি আলম মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে আমার বেগুন, জিঙা ও ঢেঁড়স প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো আর বাঁচানো যাবেনা। গাছে যখন সবজি ঝুলছে তখন বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে গেছে। শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষক ওয়াজিদ মিয়া বলেন, আমার আউশধানের চারা, আমনধানের বীজতলা ও সবজি খেত পুর টায় তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। সবজি খেত মরে যাচ্ছে এগুলো আর বাঁচানো যাবেনা।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে সবজির কিছুটা ক্ষতি হবে। গত দুই দিনের বৃষ্টিতে বেশ কিছু সবজি খেত তলিয়ে গেছে। যদি বন্যা না হয় তাহলে আউশধানের চারাগাছের তেমন ক্ষতি হবেনা।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply