সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মৈন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মজলিশপুর গ্রামবাসীর পক্ষে থেকে মোঃ বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তি গত ১১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অফিসার বরাবর এই লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মৈন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আল ইসলাম সে সরকারী কর্মচারী হয়ে শৃংখলা পরিপন্থী কাজে নিজেকে জড়িয়ে স্থানীয় রাজনীতি নিয়ন্ত্রন পূর্বক তার লাঠিয়াল গোষ্ঠীর প্রভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংগঠনিক পদ পদবী দখল করে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে চলেছে। সে তার মত করে যখন তখন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া ও পাঠদান করে থাকে। তার নীতিহীন আচরণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি এলাকাবাসীদেরকে বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। আল ইসলাম নামের উক্ত শিক্ষকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার ও লাঠিয়াল গোষ্ঠীর দাপটে সে মজলিশপুর মাঠ সুরক্ষা কমিটির সভাপতি, মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক, মজলিশপুর মানব কল্যাণ সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি, মজলিশপুর আনোয়ার“ল উলুম মাদ্রাসার যুগ্ন সাধারন সম্পাদকের পদে থেকে বর্তমানে সাধারন সম্পাদক হওয়ার জন্য পেশীগত প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় অশান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সে সরকারী কর্মচারী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি স্থানীয় নির্বাচনে সরকারী দল আওয়ামীলীগ মনোনীত ও একাধিকবার নির্বাচিত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরিচালনা করে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে ফেল করিয়েছে। এলাকার প্রতিটি সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বজায় রেখে রামরাজত্ব কায়েম করাই যেন শিক্ষক আল ইসলামের একমাত্র নেশা। তার ভয়ংকর নেশার ফাঁদে পড়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কার্যক্রমে মারাত্নক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তার অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেছেন, আদবহীন এ শিক্ষকের কাজকর্ম আমাদের শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলংকিত করছে। এলাকার ষাটোর্দ্ধ এক বৃদ্ধ বলেছেন, বাজান কী কমু, তাইনে যে কাম শুরু করছে, ইডা তো দিহি কিয়ামতের আলামত শুরু অইছে। আফনেরা হগলে মিইল্যা তাইনডে খেন্ত করুইন্না। এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক আল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তার মুঠোফোনে ০১৭২৬-২১১৫২১ একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা আক্তার বলেছেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলমান তদন্তে প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হবে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, আমি বিষয়টি দেখতেছি এবং এ বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply