সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজের খুশি মতো অফিসের কাঠ গাছ কাটলেন পানি বিজ্ঞান প্রকৌশলী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজের খুশি মতো অফিসের কাঠ গাছ কাটলেন পানি বিজ্ঞান প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানি বিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়ে থাকা ১২টি গাছ নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কেটে ফেলেছেন প্রকৌশলী। সম্প্রতি অফিস চত্ত্বরে থাকা আকাশি, মেহগনি ও কড়ুই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। তবে এই অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদের দাবি ঝুপঝাপ পরিস্কার করেছেন তিনি। বড় কোন গাছ কাটেননি।
জানা যায়, জেলা শহরের পুনিয়াউট বাইপাস সড়কের মোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি বিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয়টি স্থাপিত হয়। এরপর স্টাফরা নিজ খরচে অফিস চত্ত্বরে ডাব, আকাশি, মেহগনি ও কড়ুই গাছ রোপন করেন। দীর্ঘদিনে গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। পরবর্তীতে অফিসটি সম্প্রসারণ করে সংস্কার কাজ করা হয়। এসময় বেশ কিছু গাছ কাটা পড়ে। সম্প্রতি এ অফিসের আশপাশের ঝুঁপঝাড় পরিস্কারের জন্য দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে মৌখিক অনুমোদন নেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ। কিন্তু তিনি ঝুঁপঝাড়ের পাশাপাশি অফিস চত্ত্বরে থাকা ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ গাছ কেটে ফেলেন। আইন অনুযায়ী, সরকারি কোন অফিসের গাছ কাটতে হলে বণ বিভাগে লিখিত আবেদন করতে হয়। সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গাছ কাটা যায়। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি বিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে গাছ কাটতে কোন প্রকার অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি বিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছগির উদ্দিন আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, স্যারেরা বলেছেন ছোট ছোট গাছ গুলো কেটে ফেলতে। আমি ছোট গাছ গুলো কেটেছি। এসময় উনাকে ভিডিও চিত্রের কথা বললে তিনি বলেন, ৩/৪টি গাছ আমি কেটেছি। স্যারেরা জানেন। এরজন্যে বন সংরক্ষণ বিভাগে আবেদন করিনি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. এ বি এম খান মোজাহিদী বলেন, আমাকে অফিস পরিস্কারের জন্যে ছোট ছোট গাছগুলো কাটার কথা বলা হয়েছিল। বড় কাছ কেটেছে কি না জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহকারী বন সংরক্ষণ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ জাহান জানান, সরকারি অফিসের ছোট বা বড় যে কোন গাছ কাটতে হলে আমাদের কাছে আবেদন করতে হয়। এই আবেদন গুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি আছে। উনারা এই আবেদনের বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গাছের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি বিজ্ঞান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে কোন প্রকার আবেদন আমরা পাইনি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com