প্রতিনিধি//সময়নিউজবিডি
মাঘ মাসের শুরু থেকেই শীতের প্রকোপ থাকলেও সম্প্রতি ধরে ফের শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে রাজশাহীর পবা উপজেলা। তার উপর হালকা বৃষ্টির কারণে শীতের অনুভূতি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সারা দিনেই দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে বাস ট্রাকসহ অন্যন্য যানবাহন।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই রাজশাহীর পবায় শীতের প্রকোপ অনুভুত হচ্ছে। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় সড়কে মানুষের চলাচল খানিকটা কমে গেছে। ফলে যাত্রী না থাকায় রোজগার কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশা ও ভ্যানচালকরা।
কনকনে শীতে দুভোর্গে পড়েছে দরিদ্র ছিন্নমুল মানুষ। উপজেলার সর্বত্র ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক লোকজন ঠান্ডা রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
শীতের তীব্রতায় প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষজন খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ফলে কাজকর্ম ব্যবসা বাণিজ্যও ভাটা পড়ছে। বাজারে শাক সব্জিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুশা বাজারের নৈশপ্রহরী পচাঁ জানান, কয়েকদিন আবহাওয়া ভালোই ছিল, গরম পড়তে শুরু করেছিল। হঠাৎ করে বেশ কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস হওয়ায় আবার নতুন করে শীত পড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে বাতাস বইছে। শীতের কারণে কাজও ঠিকমতো করা যাচ্ছে না।
অটো চালক রিমন আলী বলেন, কয়েকদিন রোদ থাকায় বাজারে মানুষজন এসেছে, আয় রোজগার ছিল। কিন্তু আবার শীত পড়ার কারণে লোকজন তেমন বের হচ্ছে না, ফলে যাত্রীও তেমন একটা পাওয়া না, আমাদের রোজগার কমে গেছে। এর ওপর শীতের কারণে গাড়ি চালাতেও সমস্যা হচ্ছে, হাত-পা শিক লাগার মতো হয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, বুধবার রাজশাহীর সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের অঞ্চলে শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। এটি মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply