মসজিদ ভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৭ম পর্যায়) এর আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার শিক্ষক ও কেয়ারটেকারদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের আয়ােজনে সার্কিট হাউজে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আশেকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী মোঃ জাবেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসােসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের ফিল্ডস্ অফিসার কাজী জুলহাসের পরিচালনায় সভায় মসজিদভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প এর আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার শিক্ষক ও কেয়ারটেকারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ- দৌলা খাঁন বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ হলও তিনি ভুলে যাননি এদেশের বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান। তাই ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন তৈরি হয়। তিনি কেবল ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাই করেননি, এর জন্য যথাযথ স্থানও বরাদ্দ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ইসলামের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মর্মবাণী মানুষের কাছে পৌঁছাতে অর্থবহ ভূমিকা পালন করেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় মসজিদ বায়তুল মােকারামের পুনঃনির্মাণ করেন। আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা ওআইসিতে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধুর অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর আন্তরিকতায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যপূর্ন অসম্প্রদায়িকতা ও মানবকল্যাণের ধর্ম। বর্তমান সরকার দেশে ইসলামিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগােপযােগী করার উদ্যােগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করাসহ একাধিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।
Leave a Reply