করােনাভাইরাস পৃথিবীর সকল দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মহামারি আকার ধারণ করেছে। কােভিড -১৯ ভাইরাস আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। করােনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত গ্রহণযােগ্য প্রতিষেধক এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হওয়ায় বিশাল জনগােষ্ঠি আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কােভিড – ১৯ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতােমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, জেলায় এ পর্যন্ত ৪০৬ জন আক্রান্ত এবং ০৬ জন মৃত্যুবরণ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করােনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহের পর গত ০৫ দিন করােনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার কােন ফলাফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছেনি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া মনে করে যে, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছানাের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগায় নমুনা প্রদানকারী ব্যক্তি পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের সংস্পর্শ থাকায় সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে এবং এতে জনমনে আতংক সৃষ্টি হচ্ছে।এমতাবস্থায় করােনাভাইরাস প্রতিরােধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাব অনুযায়ী ব্যাপক মাত্রায় পরীক্ষার বিকল্প নেই।করােনাভাইরাস প্রতিরােধকল্পে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত সনাক্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর পক্ষ হতর জনস্বার্থে দাবি জানাচ্ছি। সনাক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রত্যাশা করে যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে জেলায় দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপনে প্রয়ােজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জেলাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবী জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারীভাবে যদি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয় তাহলে স্বল্প খরচে জনসাধারণ এই পরীক্ষাটি করতে পারবে। আর যতদ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ল্যাবটি স্থাপন করা হবে ততদ্রুত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)।
Leave a Reply