শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত,লালমনিরহাট প্রতিনিধি
শুরু থেকেই কৃষির প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের গোপালরায় গ্রামের কৃষক নুরুল হকের। তাই তিনি গড়ে তোলেন ‘হক নার্সারী’। বিশেষ করে লিচু চাষে তার সফলতা এখন ঈর্ষণীয়।
নুরুল হক বলেন, ১৯৯৪ সালে কৃষিতে জড়িয়ে পড়ি। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় গড়ে তুলি লিচুর বাগান। এবার জেলার অন্য বাগান থেকে তার ২ একর বাগানে ফলন ভালো হয়েছে, যা অন্তত ৫ লাখ টাকায় অর্ধে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। তবে তার দাবি, প্রতি বছর লিচুর ফলন একই রকম হয় না। একবার বেশি হলে অন্যবার কম হয়। তাই এ জেলায় লিচুর জন্য একটি আধুনিক হিমাগার স্থাপন করা গেলে সেখানে সারা বছর রেখে লিচু বিক্রি করা যাবে। চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
অন্য লিচু চাষীরা বলেন, এ বছর কালীগঞ্জে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। তবে আকার ও রঙের দিক থেকে নুরুল হকের বাগানের লিচুই সেরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম জানান, কালীগঞ্জ উপজেলারঅন্য বাগান থেকে নুরুল হকের বাগানে ফলন বেশি হয়েছে। একই সঙ্গে তার বাগানের লিচু আকারে বড় এবং খেতেও সুস্বাদু। নুরুল হক কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে গাছের পরিচর্যা করার কারণে তার বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিধু ভুষণ বলেন, এবছর লিচু ফলন ভালো হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। কয়েক জাতের লিচু চাষ হলেও বাজারে চায়না থ্রি লিচুর কদর বেশি। এখানে আবহাওয়া চায়না থ্রি লিচুর জন্য উপযোগী। তাই মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা চায়না থ্রি লিচু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply