স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাল (আতপ ও সিদ্ধ) সংগ্রহ অভিযানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি জেলা খাদ্য বিভাগ। এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ দশমিক ৪২ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে না পারায় জেলার ১৬টি চাতাল মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলা খাদ্য বিভাগ জেলায় ৪০ হাজার ৯৯৫ টন সিদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের জন্য জেলার ৩১৬টি চাতাল মিলের সাথে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী গত ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলে চাল সংগ্রহ অভিযান। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় চাল সংগ্রহের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
দ্বিতীয় দফায় ১৫ দিনের মেয়াদ বাড়িয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার ২৯৭ টন চাল সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে চাল সংগ্রহের চুক্তি অনুযায়ী ৩১৬ চাতাল মিলের মধ্যে ১৬টি চাতাল মিল কোনো চাল সরবরাহ করেনি। তাই এই ১৬ চাতাল মিলকে কালো তালিকা ভূক্তির জন্য গত বুধবার ঢাকায় সুপারিশ করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ।
কালো তালিকাভুক্তের জন্য সুপারিশ করা ১৬টি চাতাল মিলের মধ্যে আশুগঞ্জ উপজেলার ১১টি, সরাইল উপজেলার ২টি, সদরে ১টি ও বিজয়নগর উপজেলায় ১টি চাতাল মিল রয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সময় বাড়ানোর পর ৩৮ হাজার ২৯৭ মেট্টিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে শাপলা রাইস মিল ৩০.১২০ টন সিদ্ধ চাল, শরীফ রাইস মিল ৩৮.১০০ টন সিদ্ধ চাল, আব্বাস আলী রাইস মিল ৪৩.১৭০ টন সিদ্ধ চাল, আমেনা খাতুন রাইস মিল ৪০.০৫০ টন সিদ্ধ চাল, মোমেনা মতি বয়লার রাইস মিল ৪০.০২০ টন সিদ্ধ চাল, রূপালী রাইস মিল ৪০.০২০ টন সিদ্ধ চাল, ইয়াকুব আলী রাইস মিল ৪২.৭২০ টন সিদ্ধ চাল, আশা রাইস মিল ৩৫.৩৪০ টন সিদ্ধ চাল, ওসমান গণি রাইস মিল ৩৮.১০০ টন সিদ্ধ চাল সিদ্ধ চাল, শাহজালাল রাইস মিল ৩৬.৬৯০ টন সিদ্ধ চাল, গাজী রাইস মিল ৭৭.৭০০ টন সিদ্ধ চাল, মিশ্রির মা বয়লার রাইস মিল ৭৭.৭০০ টন সিদ্ধ চাল, সাইফুর রাইস মিল ৬৮.৩১০ টন সিদ্ধ চাল, জাহাঙ্গীর বয়লার রাইস মিল ৫৯.৭৬০ টন সিদ্ধ চাল, চৌধুরী অটো রাইস মিল ৮৪.৫৭০ টন আতপ চাল ও যমুনা রাইস মিল ১৪৬.৭৯০ টন সিদ্ধ চাল সরবরাহের চুক্তি করেও কোনো চাল সরবরাহ করেনি।
এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ হাজার ৯৯৫ মেট্টিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছি। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ১৫দিনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ দশমিক ৪২ শতাংশ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। আর চাল সরবরাহ না করতে পারায় জেলার ১৬টি মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করতে গত বুধবার ঢাকায় সুপারিশ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত এলেই এদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply