স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে হাদিসা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে আদালতে দায়ের করা নারী নির্যাতনের মামলা তুলে নিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিকার ও হুমকিদাতাদের বিচার চেয়ে গৃহবধূ হাদিসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ ইং সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের হতদরিদ্র মুজিবুল হকের মেয়ে হাদিসা আক্তারের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর শেরপুর গ্রামের মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলামের ইসলামী শরাশরিয়ত মতে ৭ লাখ টাকা দেন মোহরাণা ধার্য্যে কাবিননামা রেজিস্ট্রি করে শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে হাদিসার স্বামী সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময় মারধোর ও অত্যাচার নির্যাতন করেন। পরে সাইফুল ইসলাম কিছু না বলেই মালয়েশিয়া চলে যান। মালয়েশিয়া যাওয়ার পর থেকে হাদিসার স্বামী সাইফুল কোন রকম যোগাযোগ বা ভরণপোষণ করেনি। এদিকে গত দুইতিন বছর আগে সাইফুল মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে পূনরায় বিয়ে করে সংসার করলেও হাদিসার কোন খোঁজখবর ও ভরণপোষণ না করায় অসহায় গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলাম সহ পাঁচ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে হাদিসার স্বামী সাইফুল ইসলাম নিজে ও বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মামলা তুলে নিতে মোবাইল ফোনে মারধোরসহ খুন করে ফেলার হুমকিধামকি দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২১ অক্টোবর ২০২০ ইং রাতে হাদিসার স্বামী সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহরতলীর বিরাসার গ্রামের জনৈক নাজির মিয়া ওরফে নাজির মেম্বার হাদিসার মোবাইল ফোনে কল দিয়া এক লাখ টাকার বিনিময়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নিতে অসভ্য অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে হাদিসাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে গৃহবধূ হাদিসা আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান, আমি গরীব ও অসহায় বলে বিয়ে পর থেকেই আমার উপর নির্যাতন ও অত্যচার করেন সাইফুল। আমাকে কোন ভরণপোষণ না করেই ও আমাকে না জানিয়ে সাইফুল বিদেশ চলে যায়। পরে বিদেশ থেকে ফিরে সে পূনরায় বিয়ে করে সংসার করছে। আমি নিরুপায় হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত অভিযোগের তদন্ত পূর্বক সত্যতা পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পর থেকেই সাইফুল নিজে ও বিভিন্ন লোকজন দিয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকিধামকি দিয়ে আসছে ও মামলা তুলে না নিলে আমাকে প্রাঁণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রহিম জানান, গৃহবধূকে হুমকিধামকির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply