সংবাদ শিরোনাম
নাসিরনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নাসিরনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ আব্দুল হান্নান//নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মবাড়িয়ার নাসিরনগরে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে হরিপুর ইউনিয়নের রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার দাসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. মজনু মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ প্রোগ্রাম ও শিক্ষা উপকরণ বাবদ ৮৪ হাজার ৫৭৪ টাকা এবং বিদ্যালয় মেরামত বাবদ এক লাখ ২৩ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। স্লিপ প্রোগ্রাম ও উপকরণ বাবদ কিছু টাকা খরচ করলেও বিদ্যালয় রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ কোনো টাকা খরচ না করেই সভাপতির অগোচরে স্বাক্ষর জাল করে সোনালী ব্যাংক হরিণবেড় শাখা থেকে পৃথক দুটি  চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার দাস। 
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মজনু মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক কাজ না করে এবং আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে দুবার টাকা উত্তোলন করেছেন। গত ১ অক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ২৬ সদস্য আলোচনা করে একটি রেজুলেশন করি। এতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষর জাল ও উত্তোলনকৃত টাকা আত্মসাতের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করেন প্রধান শিক্ষক। এই খরচের হিসাব চাইতে গেলে তিনি সঠিক হিসাব দিতে পারেননি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কাছে। এ সময় ৩০ হাজার টাকা গরমিলের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তিনি আর দেননি। 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক পংকজ কুমার দাস বলেন,আমি যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালযের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন প্রধান শিক্ষক। 
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া  বলেন, সভাপতির লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী এ প্রতিবেদককে জানান , উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষযটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com