সংবাদ শিরোনাম
মোবাইল আসক্তি ঠেকাতে ও ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ বিজয়নগরে জালনোট তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজন আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা।। এলাকায় শোকের ছায়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষা সপ্তাহ’র উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সম্প্রসারিত করে পরিকল্পিত নগরায়ন করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি ডেঙ্গু ঠেকাতে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন শেষ হলো সাহিত্য একাডেমির ৭ দিনব্যাপী “বৈশাখী উৎসব।। সচিব খলিল আহমদকে বৈশাখী উৎসব সম্মাননা প্রদান

বিজয়নগরে চাপের মুখে ২১ মাসের বকেয়া বেতন পেলেন এক খণ্ডকালীন শিক্ষক

বিজয়নগরে চাপের মুখে ২১ মাসের বকেয়া বেতন পেলেন এক খণ্ডকালীন শিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চাপের মুখে ২১ মাসের বকেয়া বেতন পেলেন এক খণ্ডকালীন শিক্ষক। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের চাপ ও গণমাধ্যমে একাধিক নিউজ প্রকাশ হওয়ায় খণ্ডকালীন এক শিক্ষকের ২১ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন উপজেলার চান্দুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৩৭ জন অভিভাবক সদস্যের দেওয়া অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ মে সকাল ১১ টায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভীন ও সহকারী শিক্ষা অফিসার, এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মানিক ভূইয়া তদন্তে আসেন। এসময় সুমিত্রা রানী দাস নামে একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক ২১ মাসের বকেয়া বেতন প্রধান শিক্ষক না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন। পরে উপস্থিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ খণ্ডকালীন শিক্ষকের বকেয়া বেতন না দেওয়ার কারণ জানতে চান ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেন। এসময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন-অর-রশিদ উক্ত ঘটনার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে তার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে ৪২ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন।
খণ্ডকালীন শিক্ষক সুমিত্রা রানী দাস এ প্রতিবেদককে জানান, আমি দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলাম। তদন্তের দিন আমি উপস্থিত না থাকার জন্য প্রধান শিক্ষক হারুন স্যার আমাকে চাপপ্রয়োগ করলেও আমি উপস্থিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপনের কথা সবাইকে খুলে বলি। তখন উপস্থিত সবাই আমার কথা শুনে তাকে তাৎক্ষণিক বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেন ও এর কারন জানতে চান। পরে প্রধান শিক্ষক ৮ জুন ২০২২ ইং তারিখ লিখে একটি ৪২ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এখন ৮ তারিখ চেক ভাঙ্গিয়ে নগদ টাকা পেলেই অনেক ঋন পরিশোধ করে সংসারের কিছুটা সংকট নিরসন হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, উক্ত বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মানিক ভূইয়া বলেন, তদন্তে গিয়ে একজন শিক্ষকের ২১ মাসের বকেয়া বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করার কথা শুনে বিস্মিত হয়েছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com