স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চাপের মুখে ২১ মাসের বকেয়া বেতন পেলেন এক খণ্ডকালীন শিক্ষক। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের চাপ ও গণমাধ্যমে একাধিক নিউজ প্রকাশ হওয়ায় খণ্ডকালীন এক শিক্ষকের ২১ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন উপজেলার চান্দুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৩৭ জন অভিভাবক সদস্যের দেওয়া অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ মে সকাল ১১ টায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভীন ও সহকারী শিক্ষা অফিসার, এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মানিক ভূইয়া তদন্তে আসেন। এসময় সুমিত্রা রানী দাস নামে একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক ২১ মাসের বকেয়া বেতন প্রধান শিক্ষক না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেন। পরে উপস্থিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ খণ্ডকালীন শিক্ষকের বকেয়া বেতন না দেওয়ার কারণ জানতে চান ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেন। এসময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন-অর-রশিদ উক্ত ঘটনার জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে তার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে ৪২ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন।
খণ্ডকালীন শিক্ষক সুমিত্রা রানী দাস এ প্রতিবেদককে জানান, আমি দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলাম। তদন্তের দিন আমি উপস্থিত না থাকার জন্য প্রধান শিক্ষক হারুন স্যার আমাকে চাপপ্রয়োগ করলেও আমি উপস্থিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপনের কথা সবাইকে খুলে বলি। তখন উপস্থিত সবাই আমার কথা শুনে তাকে তাৎক্ষণিক বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেন ও এর কারন জানতে চান। পরে প্রধান শিক্ষক ৮ জুন ২০২২ ইং তারিখ লিখে একটি ৪২ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এখন ৮ তারিখ চেক ভাঙ্গিয়ে নগদ টাকা পেলেই অনেক ঋন পরিশোধ করে সংসারের কিছুটা সংকট নিরসন হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, উক্ত বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ মানিক ভূইয়া বলেন, তদন্তে গিয়ে একজন শিক্ষকের ২১ মাসের বকেয়া বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করার কথা শুনে বিস্মিত হয়েছি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply