সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদক ও ইলেকট্রনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ছেলে মেয়েরা মেধা কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছে: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশীষ খাঁ মারা গেছেন আবারও কমলো স্বর্ণের দাম আসছে তীব্র শীত, কমছে তাপমাত্রা সরাইলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিল শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক
বাঞ্ছারামপুরে ইউপি সদস্য হত্যা মামলার দুই আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

বাঞ্ছারামপুরে ইউপি সদস্য হত্যা মামলার দুই আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে অলি মিয়া নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা দুর্ধর্ষ অপরাধী ইকবাল হোসেন-(৫৪) ও তার প্রধান সহকারী নৈমুদ্দিন-(৩৮) নামে দুই আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ইকবাল হোসেন উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে এবং একই এলাকার মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নৈমুদ্দিন।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরফিন আহমেদ হ্যাপির আদালতে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন৷
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডে সাবেক ইউপি সদস্য অলি মিয়াকে ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর ইকবালসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। গত ৩১ জানুয়ারি মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি ও পুলিশের একটি টিম সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ইকবাল হোসেন ও নৈমুদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এরপর দিন বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরফিন আহমেদ হ্যাপির আদালতে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন৷
ইকবালের দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি নূরে আলম বলেন, অলি মেম্বারের সাথে ইকবাল ও তার গ্রুপের লোকদের কয়েক বছর ধরে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৯ জানুয়ারি ইকবাল গ্রুপের নৈমুদ্দিনকে অলির বাড়ীর সামনে পেয়ে অলি মেম্বার ধাওয়া দেয়। তখন নৈমুদ্দিন ফোন দিয়ে সবুজ, ইকবাল, সজল, মিস্টার সহ ১০/১২ জনকে আসতে বলে। ইকবাল, সবুজ, নৈমুদ্দিনসহ উল্লিখিত সকল টেটা, রাম দা নিয়ে এসে অলি মেম্বারকে ঘিরে ফেলে এবং টেটা বিদ্ধ করে কুপিয়ে হত্যা করে।‌‌ তিনি বলেন, ইকবাল একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি সহ অন্তত ১০টি মামলা চলমান রয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com