বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত ছাত্রনামধারী সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর-এর সেক্রেটারী ও ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী। আজ সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবী জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, একটি ফেইসবুক পোষ্টকে কেন্দ্র করে আবরার ফাহাদের মতো একজন নিরীহ, নিরপরাধ, মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা বুয়েটের গৌরবময় ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করেছে। অবিলম্বে ঘাতকদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, মতের ভিন্নতার কারণে কাউকে পৈশাচিক, বর্বর নির্যাতন করে মেরে ফেলা কোন মানুষের কাজ নয়। যারা এই বর্বর হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে, তারা হিংস্র জানুয়ারের চেয়ে জঘণ্য। আমি আবরার হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি ও নিহত আবরারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আজ ছাত্রনামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এমন কোন অপকর্ম নেই যা সন্ত্রাসীরা করছে না। মূলত গডফাদারদের আশকারা পেয়েই সন্ত্রাসীরা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন নৈরাজ্যজনক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি নেপথ্যে থাকা গডফাদারদের দমন করা না গেলে অচিরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, নিহত আবরারের পরিবারের কান্নায় আজ দেশের আকাশ-বাতাস ভারি হচ্ছে। সেই কান্নায় আমাদেরও শামিল হতে হবে। অন্যথায় একদিন আমাদেরও এভাবে কাঁদতে হতে পারে। দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রতি আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা আবরারের পরিবারের মতো আর কোন পরিবারের এমন করুণ কান্না দেখতে চাই না। কারো মায়ের কোল খালি হোক, দেখতে চাই না। আমরা নিরীহ নিরপরাধ মানুষের রক্ত নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর রক্ত খেলা বন্ধ চাই। অ-ছাত্র, সন্ত্রাস ও দলীয় প্রভাবমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। আশা করি, সরকার দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
Leave a Reply