মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ছেলে হোক, মেযে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট। দুটির বেশী নয়, একটি হলে ভাল হয়। সরকারের এ শ্লোগান ভেস্তে যেতে বসেছে নাসিরনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে। অফিসে নেই কর্মকর্তা মাঠে নেই কর্মী। মোশারফ হোসেন আর জহিরুল ইসলাম নামের দু জন অফিস সহকারী,অফিসের শূন্য চেয়ার আর কাগজ পত্রই যার একমাত্র ভরসা। এভাবেই দিনের পর দিন হাওয়ার উপর ভর করে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরনগর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার এম,সি,এইচ,এফ,পি ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ রয়েছেন কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তিনি কখনো ছুটি নিয়ে, কখনো না নিয়ে আবার কখনো অসুস্থতার কথা বলে দীর্ঘদিন আসেননি কর্মস্থলে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি দীর্ঘ প্রায় ১২ বৎসর যাবৎ শূন্য রয়েছে বলে জানান পার্শবর্তী সরাইলে কর্মরত, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমন মিয়া। মেডিকেল অফিসার দুইজনের মাঝে এক জনের পদ শূন্য। তিনি আরো বলেন, অত্র বিভাগে কর্মরত পরিবারকল্যাণ সহকারী ৩৪ জন কর্মরত থাকলেও ২৩টি পদ রয়েছে শূন্য। এফ, ডাব্লিও ,বি ১৩ জনের মাঝে রয়েছে ৯ জন। ৪টি পদ রয়েছে শূন্য। ইউনিয়ন পরিদর্শক ১৩ জনের মাঝে ১টি পদ রয়েছে শূন্য। এফ, ডাব্লিও ,সি ১৩ জনের মাঝে ৪ জন কর্মরত থাকলেও ৯টি পদ রয়েছে শূন্য। এমএলএসএস ৮ জনে কর্মরত রয়েছে ২ জন, ৬টি পদ রয়েছে শূন্য। স্যাকমো ৮জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ১জন।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মোঃ মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেডিকেল অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেনের বিষয়ে অধিদপ্তরে অনেক লেখালেখি হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ তার বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তিনি অসূস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে বেতন ভাতা পাওয়ার জন্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছে। ভোক্তভূগিসহ এলাকাবাসী এ বিষয়ে সুনজর দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বি,এম ফরহাদ হোসেন (সংগ্রাম) এমপি ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply