সংবাদ শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত মুদ্রণশিল্প মালিকদের পরিবেশ অধিদপ্তরের নিবন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত মুদ্রণশিল্প মালিকদের পরিবেশ অধিদপ্তরের নিবন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত মুদ্রণশিল্প মালিকদের পরিবেশ অধিদপ্তরের নিবন্ধন প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বেলা ১১টায় পুনিয়াউটস্থ কার্যালয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুল আমিন শহরের মসজিদ রোডস্থ তিতাস অফসেট প্রেসের মালিক গিয়াস উদ্দিন ও আল হেরা প্রিন্ট মিডিয়ার মালিক নূরে আলম জাহাঙ্গীরকে ব্যবসায়ীক নিবন্ধন প্রদান করেন। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বিসল চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুদ্রণশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জামালউদ্দিন, নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নী ও শিপন কর্মকারসহ সকল মুদ্রণশিল্প মালিকগণ।নোঙর সভাপতি শামীম আহমেদ জানান, পরিবেশ বিনষ্ট করা প্লাস্টিক এবং লেমিনেশন করা নির্বাচনী পোস্টার পরিবেশের খুবই ক্ষতি করে। নোঙরের আহবানে মুদ্রণশিল্প মালিকগণ আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন আগামী কোন নির্বাচনেই প্লাস্টিক বা লেমিনেশনকৃত পোস্টারের কাজ করবে না। তাদের এমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধতাই আমাদের কাজের উৎসাহ ও উদ্দীপনা বাড়ে। তিনি আহবান করেন সমাজে পরিবেশ বিনষ্ট করা যেসব ব্যবসা রয়েছে তারাও যেন এ ব্যাপারে সচেতন থাকে।মুদ্রণশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি বর্ণমালা প্রেসের মালিক আরিফুল ইসলাম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আমাদের সকলের প্রয়োজন। আজকে আমাদের মুদ্রণশিল্পের দুজন ব্যবসায়ীকে নিবন্ধন প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে আমাদের সকল মালিকগণই নিবন্ধন বা ছাড়পত্র গ্রহণ করবে।পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুল আমিন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আজকে মুদ্রণশিল্প মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিবন্ধন প্রদান করেছি। পরিবেশ বিনষ্ট করা নির্বাচনী পোস্টার প্লাস্টিক বা লেমিনেশন করলে প্রার্থী এবং মুদ্রণশিল্প মালিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের নিকট জোরালো অভিযোগ দাখিল করবেন। আমরা পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি। আমাদের লোকবল কম তাই সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। আমরা ইচ্ছে করলেও অনেক কিছু করতে পারি না। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পরিবেশ বাঁচাতে। ইটভাটার দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করেছি এবং করছি। তাদের অনেককেই আমরা জরিমানা করেছি। এছাড়াও শিল্পনগরী, বেসরকারি ক্লিনিক, পুকুর বা জলাশয় ভরাটে নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগও আমরা করেছি। দুপুুর ১২টায় পুকুর ভরাট বিষয়ক অভিযোগের ভিত্তিতে গণ শুনানির মধ্যে খাকচাইলের মলাই মিয়া ও সুহিলপুরের সাদেক মিয়ার অভিযোগে বিভাগীয় মামলার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর। 

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com