স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবে জুব্বাওলাদের পাশাপাশি শার্টপ্যান্টওলারাও ছিলো এবং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের হামলায় সরাসরি অংশ নেন বলে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। যে সকল উগ্রবাদী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন কোরআন শরীফের কোথায়ও কি এসব অপকর্মের কোন বৈধতা দেওয়া আছে কিংবা মহানবী (সাঃ) কোন হাদিসে এসব অপকর্মের কোন বৈধতা দেওয়া হয়েছে কিনা।
যদি এসব অপকর্ম ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনার উপর হামলা ভাংচুর ইসলাম সমর্থন না করেন তাহলে আপনারও ইসলামের বন্ধু নন বরং কোরআন ও ইসলামের শত্রু। মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেন, পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ কি আছে যিনি ফুলকে ঘৃণা করে? ফুলকে ভালোবাসেনা? যদি উত্তর হ্যা হয়, তবে যারা গতকালকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের সামনে ফুলের বাগানে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে তারা নিঃসন্দেহে মানুষরূপী অমানুষ ও কুলাঙ্গার। তাদেরকে ধিক্কার জানাই। এখনই সময় এসেছে আপনার সৎকা, আপনার যাকাত ও দান কোথায় করবেন। যারা ফুলের বাগান নষ্ট করেছে তারা খুনি ও তারা পাকিস্তানের বংশধর।
শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় শহীদ নীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর বাংলাদেশর এক অন্যন্য অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ও উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, রেলওয়ে স্টেশন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সার্কিট হাউস, সরকারি গাড়ি, ফুলের বাগান তো নিরীহ! এসবের কি দোষ, এসব স্থাপনাগুলো তো দেশের সকল নাগরিকের জন্য। এসবের উপর কিসের জন্য কাদের ইশারায় তাণ্ডব চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তিনি বলেন, আপনারা যারা রেললাইনে হামলা করেছেন তারা যদি বাপের বেটা হন তাহলে ট্রেনে উঠবেন না। এক সময় ছবি তুলাও আপনাদের কাছে হারাম ছিলো, এখন আপনাদের কাছে হালাল হয়ে গেছে। আপনারা যদি বাংলাদেশকে অস্বীকার করেন তাহলে দেশ ত্যাগ করে চলে যেতে পারেন।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক এস আর এমওসমান গনি সজীব ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখর চন্দ্র চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাগন, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ উন্নয়ন মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply