স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় পুলিশকে মারধোর করে ২০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়া হেফাজতে ইসলামের দুই কর্মীসহ আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে জেলার সদর ও সরাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য মতে ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার জয়নাল আবেদীনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মনির মিয়া-(৪২), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ কেন্দুবাড়ির আরব আলী (৪০), সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন- (৪৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মোঃ চান মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া- (৩৪)। গ্রেপ্তারকৃত হেফাজত কমর্ী মনির মিয়া ও আরব আলী ফল ব্যবসায়ী।
গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়েই হেফাজতের ইসলামের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা চালায়। গত ২৭ মার্চ বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার নন্দনপুর বাজার এলাকায় হেফাজতের কমর্ী-সমর্থকদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সহিংসহতা হয়। ওইদিন বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে মৌলভী বাজার জেলা থেকে পুলিশ প্রহরাসহ একজন আসামী নিয়ে পুলিশের একটি দল নন্দনপুর বাজার এলাকায় পৌছে। তখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওই দলের উপর হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের বেদম মারধোর করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। সে সময় বিক্ষোভকারীরা মৌলভী বাজার জেলা পুলিশের কনস্টেবল তুহিন হাসানকে মারধোর করে তার কাছ থেকে ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামীদের সনাক্ত করে।গত শুক্রবার রাত দুইটার দিকে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুহিলপুর এলাকা থেকে হেফাজত কর্মী আরব ও মনিরকে গ্রেপ্তার করে।তাদের দেয়া তথ্য মতে সুহিলপুর বাজারের পিয়াসা মিষ্টি ভান্ডার দোকানের টিনের চালা থেকে ঘটনার দিন ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দুই হেফাজত কমর্ীকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনায় এই দুজন ছাড়াও শুক্রবার রাতে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে শুক্রবার রাতে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে জাকির হোসেন-(৪৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে মোঃ সুমন- (৩৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইওয়ান) মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply