শামিম ইশতিয়াক, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় আকুয়া এলাকার এক বাসায় বৈদ্যুতিক কাজের কথা বলে প্রবেশ করে হত্যার হুমকি দিয়ে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে পরিবারকে দেখিয়ে চাঁদা হিসেবে ৫ লাখ দাবি করায় কাজল মিয়া (২৩) নামে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে র্যাব।
রাতে নগরীর আকুয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত কাজল মিয়া আকুয়া ওয়্যারলেস গেট এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, নগরীর আকুয়া ওয়ারলেস গেট এলাকায় বড় বোনের বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন সেই ছাত্রী। বোন ও বোনজামাই বাসায় না থাকার সুযোগে বুধবার (০৩ জুলাই) বৈদ্যুতিক কাজের কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে কাজল ও কাউসার নামের দুই যুবক।
পরিবারের দাবি, খালি বাসা পেয়ে তারা হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং ঘটনার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকাও দাবি করা হয়। এসবের প্রেক্ষিতে ধর্ষণের শিকার সেই স্কুলছাত্রী র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মূলত সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকালে সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলমের নেতৃত্বে র্যাব-১১ এর একটি দল নগরীর আকুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কাজলকে আটক করে।
এ ব্যপারে র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত কাজল সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্রও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অপর অভিযুক্ত কাউসার এখনও পলাতক রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানে আটককৃত কাজলসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।’
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply