শামিম ইশতিয়াক, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রাচীন শহর ময়মনসিংহ কে জানতে ইতিহাসের পাতা উল্টালে যেমন চোখে পড়বে এর ঐতিহ্য স্থাপনা লোক সংস্কৃতি সাহিত্য কৃষ্টি কালচার তেমনি চোখে পড়বে ময়মনসিংহের অনেক জ্ঞানীগুণী শিল্পী কবি সাহিত্যিক ও গবেষকদের। যাদের পদযাত্রার অনুসরণ করেই বর্তমানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ শহর সারাদেশে পরিচিত হয়েছে গুনীজনদের শহর হিসেবে এবং খ্যাতি লাভ করেছে শিক্ষানগরী হিসেবে।
শিক্ষানগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করার মূল কারন এই শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জ্ঞানচর্চার জন্য পাঠাগার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান যার মাঝে একটি হলো নগরীর জয়নুল আবেদিন উদ্যানে অবস্থিত ভাষা সৈনিক এডভোকেট মোস্তফা এম.এ. মতিন পৌর পাঠাগার।
চলতি বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি পাঠাগারটি উদ্ভোধন করা হয়, এবং উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য।
“প্রতিটি ঘরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক এ প্রত্যাশায়” স্লোগানিকে প্রতিপাদ্য করে ময়মনসিংহ পৌরসভার ততকালীন মেয়র এবং বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের জননন্দিত মেয়র ইকরামুল হক টিটুর উদ্যোগে তিনি এই পাঠাগারটির কার্যক্রম চলমান করেন।
বর্তমানে এই পাঠাগারে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক,প্রবন্ধ,নিবন্ধ, সাহিত্য গবেষণাধর্মি বই সহ ধর্মীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যপুস্তক, চাকরির প্রস্তুতি মূলক বইয়ের বিপুল সমাহার, এছাড়াও এখানে রাখা হয় বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিন, এছাড়াও রাখা হয় ময়মনসিংহের স্থানিয় সকল পত্রিকা।
পাঠাগারটিতে সর্বদা লক্ষ করা যায় সকল বয়সী পাঠকের উপস্থিতি বিভিন্ন কর্মজীবী সাহিত্যপ্রেমী ছাড়াও চাকরি প্রস্তুতি নিতে ও নিয়মিত পাঠ্যপুস্তক পড়তে এখানে ভীড় জমায় ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গ্রীষ্মকালীন সকাল ৭.৩০ থেকে রাত ৮.৩০ পর্যন্ত শীতকালীন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে এই পাঠাগার।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply