স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভিডিও রেকডিং ও এডিটিং ব্যবসার জের ধরে ব্যবসার অন্য পার্টনারকে জিম্মি করে তাকে মারধরসহ মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অপরাধে মোঃ আমিনুল ইসলাম-(২৮) নামে এক ভিডিও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আমিনুলের সাবেক ব্যবসায়ী পার্টনার ভিডিও ব্যবসায়ী মোঃ কাউছার হোসেনকে ভিডিও ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল সহ জিম্মি করার অপরাধে গতকাল সোমবার (৭জুন) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার আমিনুল আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউপির চাঁনপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। পৌরসভার দূর্গাপুর গেইটে একটি ষ্টুডিও এবং ভিডিও, রেকডিং, এডিটিং এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এঘটনায় জেলা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার অন্য আসামিরা হলেন,অত্র উপজেলার লালবাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত কাজী আওয়াল মিয়ার ছেলে মোঃ কাজী শামিম-(২৮), জেলা সদর থানার পাগাচং এলাকার মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ বাপ্পি- (৩৬), চান্দুপুর মধ্যপাড়ার মোঃ বাহার মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল (২৫) ও আটলা গ্রামের মোঃ ফোরকান মিয়ার ছেলে মোঃ রায়হান (৩০)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া পৌর এলাকার দূর্গাপুর গেইটে আমিনুল ইসলাম ও কাউছার হোসেনের একটি ভিডিও এডিটিং এর ব্যবসা রয়েছে। দীর্ঘদিন তারা একসাথে বিয়েশাদি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিডিও এবং ফুল সরবরাহের ব্যবসা করে আসছেন। কিছুদিন আগে কাউছার আলাদা হয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এ নিয়ে কাউছারের সাথে পার্টনার আমিনুল ইসলামের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ দ্বন্ধের জেরে আমিনুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে ৪ জন সন্ত্রাসীকে ভাড়া করেন। ভিডিও কাজে যাওয়ার পথে কাউছারকে সদর উপজেলার পাগাচং থেকে আটক করে হাত পা বেধে জিম্মি করে ফেলেন আসামীরা। জিম্মিকারীরা কাউছার এর মাধ্যমে তার বাড়িতে ফোন দিয়ে একটি মোটরসাইকেল দাবি করে। তখন তার ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কৌশলে এক জিম্মিকারীর সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এলাকাবাসী জানতে পারেন। এসময় ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানালে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, আসামি আমিনুল ও তার পার্টনারশিপ ব্যবসায়ী কাউছার হোসেনের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কাউছারকে জিম্মি করে এবং তাকে আটক করে মারধর করে একটি ভিডিও ক্যামেরা( panasonic H2) সহ মালামাল জব্দ করে রাখে। এঘটনা তদন্ত করে আমিনুল কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply