স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চালক মোঃ আসিফ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামী মোঃ ইয়াছিন আরাফাত (৪২) ও সুহেল মিয়া (৩৪) কে গ্রেফতার করেন পিবিআই। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ২০২০ ইং সনের ৩০ নভেম্বর জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে আসিফ (২০) অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে অটোরিকশা চালক আসিফের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। এ ঘটনায় আসিফের মা রাশিদা বেগম অজ্ঞাতনাম ২/৩ জনকে আসামি করে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় পিবিআইকে।
মিজানুর রহমান আরো জানান, আদালত কর্তৃক মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ে আসার পর পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন স্যার হত্যার রহস্য উদঘাটনে মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহত আসিফের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত ২৭ জুন ২০২১ ইং তারিখে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সুহেল মিয়াকে আখাউড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নিহত আসিফের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। পরে সুহেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ জুন অপর আসামি ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ইয়াছিনের গ্যারেজ থেকে নিহত আসিফের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন (৩০ নভেম্বর ২০২০) রাতে সুহেল, ইয়াছিন আরাফাত সহ আরো কয়েকজন মিলে সদর উপজেলার ভাতশালা স্টেশনের কাছে গাঁজা সেবন করতে যান। তখন স্টেশনের সামনে আসিফের অটোরিকশাটি দেখে তারা বাইপাস যাওয়ার জন্য অটোরিক্সায় ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আসিফের গলা কেটে হত্যা করে তার মোবাইল ও অটোরিকশা নিয়ে চলে যান।
এদিকে অটোরিকশা চালক আসিফকে হত্যা করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রায় ৬ মাস পর সেটি ব্যবহার করেন সুহেল মিয়া। এতে সে পুলিশের ঝালে ধরা পড়ে গ্রেফতার হন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply