সংবাদ শিরোনাম
খুনি দাঙ্গাবাজ ও মাদককারবারীসহ সকল অপরাধীদের দমনে জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে : নবাগত পুলিশ সুপার শাহ্ মোঃ আবদুর রউফ বিজয়নগরে স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ। দোকানপাট ও ব্যাংকে ভাংচুর লুটতরাজ।। আহত-২০ যারা এনেছিলেন মৃত্যুহীন প্রাণ।। আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক লুৎফুর রহমানের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অটোচালককে পিটিয়ে হত্যা কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন।। সভাপতি শাওন, সাধারণ সম্পাদক আলম জেলার পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি দিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার কসবায় হোন্ডা কোম্পানির বাইকারদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রী সার্ভিস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিতে রাজনীতি নয়, রাজনীতিতে সংস্কৃতি চাই- প্রবর্তকের আবৃত্তি অনুষ্ঠানে বক্তারা ধর্ষনের সাজানো অভিযোগের প্রতিবাদে কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন শ্রীমঙ্গলে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ
নাসিরনগরে মিথ্যা মামলায় গ্রাম ছাড়া এক পরিবার

নাসিরনগরে মিথ্যা মামলায় গ্রাম ছাড়া এক পরিবার

আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রতিপক্ষের সাজানো মিথ্যা মামলায় পুলিশের গ্রেপ্তার আতংকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে লুলু মিয়া ও তার দুই ছেলে। সরেজমিন এলাকা গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের চটিপাড়া গ্রামে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চটিপাড়া গ্রামের সহজ সরল হত দরিদ্র লুলু মিয়ার মেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ফিরোজা বেগমের প্রতি কু-নজর পড়ে প্রতিবেশী বিত্ত ও প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে শাহজাহানের। শাহজাহান প্রায়ই ফিরোজাকে কু-প্রস্তাব দিত ও রাস্তা ঘাটে চলার সময়ে উত্যক্ত করত। বিষয়টি জানানো হয় শাহজাহানের অভিভাবকদেরকে। এতে শাহজাহান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ফিরোজার উপর। ঘটনার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে একা ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে ফিরোজা। রাত ঘনিয়ে এলে শাহজাহান তার বন্ধু বেলু মিয়ার ছেলে ছেন্দু মিয়াকে সাথে নিয়ে গভীর রাতে চুপিসারে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ফিরোজাকে ঝাপটে ধরে কাপড় চোপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে ফিরোজার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায়। ফিরোজার চিৎকারে শাহজাহানের লোকজন এসে বিচারের কথা বলে ছাড়িয়ে নেয় শাহজাহান ও ছেন্টুকে। পরে সুবিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করেন ফিরোজা। মামলায় কিছুদিন হাজত বাস করে শাহজাহান। পরে জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে ফিরোজা ও তার পরিবারের লোকজনকে চাপ সৃষ্ঠি করতে থাকে শাহজাহান ও তার লোকজন। তাতে কাজ না হলে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে ফিরোজার ভাই এরশাদের নামে ভূয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ( প্রসেস নং-৮১২/২০) দিয়ে হয়রানী শুরু করে ফিরোজার পরিবারকে। পরবর্তীতে শাহাজাহান ও তার লোকজন নিজেরাই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে শাহজাহানের এক আত্মীয় হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামের মোঃ দৌলত পাঠানকে দিয়ে ফিরোজার বাবা লুলু মিয়া (৫০), ভাই এরশাদ মিয়া (৩৫) ও জমির মিয়া (২৮) কে আসামী করে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -৯/৫৬। মিথ্যা মামলা ফিরোজার ভাই এরশাদ মিয়া কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেলেও বৃদ্ধ বাবা লুলু মিয়া ও ছোট ভাই জমির মিয়া পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে শাহজাহানের সাথে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও যোগাযোগ করা  সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুর রহমান সরকার বলেন,মৃত মাছের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com