আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রতিপক্ষের সাজানো মিথ্যা মামলায় পুলিশের গ্রেপ্তার আতংকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে লুলু মিয়া ও তার দুই ছেলে। সরেজমিন এলাকা গিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের চটিপাড়া গ্রামে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চটিপাড়া গ্রামের সহজ সরল হত দরিদ্র লুলু মিয়ার মেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ফিরোজা বেগমের প্রতি কু-নজর পড়ে প্রতিবেশী বিত্ত ও প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে শাহজাহানের। শাহজাহান প্রায়ই ফিরোজাকে কু-প্রস্তাব দিত ও রাস্তা ঘাটে চলার সময়ে উত্যক্ত করত। বিষয়টি জানানো হয় শাহজাহানের অভিভাবকদেরকে। এতে শাহজাহান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ফিরোজার উপর। ঘটনার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে একা ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে ফিরোজা। রাত ঘনিয়ে এলে শাহজাহান তার বন্ধু বেলু মিয়ার ছেলে ছেন্দু মিয়াকে সাথে নিয়ে গভীর রাতে চুপিসারে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ফিরোজাকে ঝাপটে ধরে কাপড় চোপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে ফিরোজার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায়। ফিরোজার চিৎকারে শাহজাহানের লোকজন এসে বিচারের কথা বলে ছাড়িয়ে নেয় শাহজাহান ও ছেন্টুকে। পরে সুবিচার না পেয়ে আদালতে মামলা করেন ফিরোজা। মামলায় কিছুদিন হাজত বাস করে শাহজাহান। পরে জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে ফিরোজা ও তার পরিবারের লোকজনকে চাপ সৃষ্ঠি করতে থাকে শাহজাহান ও তার লোকজন। তাতে কাজ না হলে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে ফিরোজার ভাই এরশাদের নামে ভূয়া গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ( প্রসেস নং-৮১২/২০) দিয়ে হয়রানী শুরু করে ফিরোজার পরিবারকে। পরবর্তীতে শাহাজাহান ও তার লোকজন নিজেরাই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে শাহজাহানের এক আত্মীয় হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামের মোঃ দৌলত পাঠানকে দিয়ে ফিরোজার বাবা লুলু মিয়া (৫০), ভাই এরশাদ মিয়া (৩৫) ও জমির মিয়া (২৮) কে আসামী করে নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -৯/৫৬। মিথ্যা মামলা ফিরোজার ভাই এরশাদ মিয়া কিছুদিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেলেও বৃদ্ধ বাবা লুলু মিয়া ও ছোট ভাই জমির মিয়া পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে শাহজাহানের সাথে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুর রহমান সরকার বলেন,মৃত মাছের ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply