স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমন। এমতাবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের চাপ। ফলে হাসপাতালে মাঝে মাঝে দেখা যায় অক্সিজেন সংকট।
প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত শিক্ষা পরিবারকে নিয়ে গড়ে সংগঠন “পাশে আছি আমরা” এর পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ওয়াহীদুজ্জামান ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লার কাছে সোমবার দুপুরে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন “পাশে আছি আমরা” সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস. এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ও “পাশে আছি আমরা” সংগঠনের সমন্বয়কারী এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রানা নুরুস শামস, ডাঃ ফয়েজুর রহমান ফয়েজ, ডাঃ খোকন দেবনাথ, ডাঃ ইনজামামুল হক সিয়াম।
এ ব্যাপারে সংগঠনের সমন্বয়ক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব বলেন, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” সংগঠনটি করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট থাকায় সোমবার দুপুরে হাসপাতালের রোগীদের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। এ ধরণের মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে ।
অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন “পাশে আছি আমরা” সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক,( গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
উল্লেখ্যঃ- করোনাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীরা কাঙ্খিত কোন সেবা পাচ্ছেন না। এই হাসপাতালে নেই পিসিআর ল্যাব, হাইফ্লো নাজাল ক্যানোলা, ভেন্টিলেটর, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশী কমে গেলে ওই রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালে বর্তমানে মোট ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ৬৮০০ লিটারের এবং বাকীগুলো ১৩৬০ লিটারের।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply