ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাতসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা নাম্বার দেওয়ানী- ১২০/ ২১, তারিখ ৩১/০৮/২১ ইং।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ (প্রথম) আদালতে শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম ইমাম নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী একজন প্রার্থী ছিলেন।
মামলার আসামীরা হলেন – মডেল মসজিদের নিয়োগ পাওয়া ইমাম মেসবাহ উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মডেল মসজিদ নিয়োগ কমিটির সভাপতি কে এম ইয়াসির আরাফাত, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি), উপজেলা সহকারি মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন, আউলিয়ানগর সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় ৬ নাম্বারে থাকা প্রার্থীকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলে হয়েছে, ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব অভিজ্ঞতা একজন প্রার্থীর থাকতে হবে সেই অভিজ্ঞতার কোনোটিই নেই নিয়োগপ্রাপ্ত মিসবাহ উদ্দিনের। এছাড়াও উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় নামে এক প্রতিষ্ঠানের একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন নিয়োগপ্রাপ্ত মিসবাহ উদ্দিন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় যে, এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুসারে তিনি উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন না।
জানা যায়, গত ২০ মে ২০২১ ইং তারিখে, নম্বর ০৫.৪২.১২০৭.০০০.০২.০১৪.২১-/৩১৭ স্মারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জন্য একজন পেশ ইমামসহ চার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন উপজেলা মডেল মসজিদ নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম ইয়াসির আরাফাত। পেশ ইমাম পদে নিয়োগ পেতে ৪০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৮ জন প্রার্থী। গত ২৩ জুন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৭ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে একটি নোটিশ প্রকাশ করেন ইউএনও কে এম ইয়াসির আরাফাত। যে নোটিশের ৭ নাম্বার তালিকায় থাকা মিসবাহ উদ্দিনকে গত ১২ আগস্ট এক আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নিয়োগ কমিটির সভাপতি কে এম ইয়াসির আরাফাতের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। যে কারনে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply