সংবাদ শিরোনাম
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত মাদক ও ইলেকট্রনিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ছেলে মেয়েরা মেধা কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছে: খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাতি ওস্তাদ আশীষ খাঁ মারা গেছেন আবারও কমলো স্বর্ণের দাম আসছে তীব্র শীত, কমছে তাপমাত্রা সরাইলে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের আনন্দ মিছিল শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার রেল যাতায়াত, যানজট ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কক্সবাজারে লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬ জন আটক
ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ে বসবাস করছে ২ লক্ষের অধিক মানুষ, যে কোনো সময় দূর্ঘটনার আশংঙ্খা

ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পাহাড়ে বসবাস করছে ২ লক্ষের অধিক মানুষ, যে কোনো সময় দূর্ঘটনার আশংঙ্খা


সাকিব,সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে পৌরসভার অভ্যন্তরে অতি ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে ৯৯৮টি পরিবার। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির পরও এসব মানুষ বসবাস করছেন।
প্রতি বছর পাহাড়ধসে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়লেও সেদিকে কোনো খেয়াল নেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী এসব মানুষের। ঝুঁকিতে থাকা এসব লোকজন বলছেন তাদের স্থায়ী নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা না হলে পাহাড় ছাড়বে না।
প্রশাসন বলছেন পাহাড় কারও ব্যক্তি মালিকানাধীন হতে পারে না। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা লোকজনকে সরিয়ে ফেলা হবে। প্রয়োজনে জোরপূর্বক সরানো হবে।
এদিকে গত চারদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে যে কোনো মুহূর্তে পাহাড়ধসে মানবিক বিপর্যয় ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় ঝুঁকিপুর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শহরসহ প্রতিটি উপজেলায় মাইকিং করে পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সিপিভি ভলান্টিয়ার, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, এনজিওসহ বিভিন্ন গ্রুপ ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীরা বলছেন তাদের কোন থাকার স্থান না থাকায় পাহাড়ে ঝুঁকি জেনেও বসবাস করছে। সরকারের প্রতি তাদের দাবী বসবাসের জন্য নিরাপদ স্থায়ী স্থান দেওয়া হোক।
শহরের খাজা মঞ্জিলের পাহাড়ে অবস্থান করা রাবেয়া খাতুন জানান, গত ৯ বছর ধরে  পাহাড়ে অবস্থান করছি। প্রতিবছর বর্ষায় বৃষ্টি হলেই ভয় লাগে। কখন জানি পাহাড় ধসে পড়ে। সরকার যদি আমাদের জন্য স্থায়ীভাবে নিরাপদ কোনো আশ্রয়ের ব্যবস্থা করত তাহলে আর এ আতঙ্কে থাকতে হতো না।
পাহাড়তলী এলাকার নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করলেও কিছু করার থাকছে না। ঝুঁকি থাকলেও পাহাড় ছাড়তে পারব না। বউ-বাচ্চা নিয়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। সুতরাং কাপালে যা আছে তাই হবে।’
পাহাড় কেন দখল করে আছে এমন প্রশ্নে নুরুল ইসলাম জানান, এক প্রভাবশালীর কাছ থেকেই জায়গা কিনেছে। তার থাকার কোন জায়গা নেই তাই অল্প টাকায় পাহাড়ে উঁচুতে জায়গা কিনেছেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। কেউ যাতে মানবিক বিপর্যয় ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির শিকার না হন সে জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
 কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জানান, লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। লোকজনকে অনুরোধ করা হচ্ছে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে। পরিস্থিতি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলে প্রশাসন দিয়ে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রয়োজনে উচ্ছেদ করা হবে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা বসতি। পাহাড়ের পাদদেশে বা পাহাড়ের চুড়ায় অতি ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা পরিবারের জন্য একটি স্থানে অবকাঠামো তৈরি করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে জীবন-জীবিকার একটি প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com