স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘন করে নির্বাচনী সভা করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় পত্তন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বড়পুকুরপাড় মাদ্রাসা মসজিদের মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় মসজিদের মাইক ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পত্তন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচনী সভায় মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে মাইক দিয়ে জনসভা করেছেন। তাও আবার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদের মাইক ব্যবহার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভুইয়া, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত কামরুজ্জামান রতন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব মিয়াসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন জানান, আমি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই সভা করেছি। স্থানীয় লোকজন মাইক এনেছিল, পুলিশ গিয়ে মাইক ব্যবহার নিষিদ্ধ বললে আমরা মাইক ব্যবহার করিনি। আমরা হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে সভা করেছি।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মুহিদ এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা মাইক ব্যবহার হচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে আসছি। সভায় একটি মাইক ব্যবহার করার অনুমতি আছে। তবে দেওয়ালে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পোস্টার দেখে এসেছি। সে জন্য তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। প্রার্থী বলে এসেছি, সভা শেষ করে আমাদের সাথে দেখা করে জরিমানার টাকা পরিশোধ করার জন্য। পাশাপাশি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply