“শান্তির পৃথিবী চাই-সদাচারী স্বদেশ চাই” এই শ্লোগান নিয়ে গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) উদযাপিত হয় ২০তম আন্তর্জাতিক লেখক দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বিকেলে এক “লেখক সম্মেলন ও লেখক সম্মাননা” স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস মন্ত্রণালয়ের মাননীয় অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাইটার্স ক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক, বিশিষ্ট কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে ভারতের আগরতলায় বসবাসরত বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী, লেখক ও গবেষক “আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া” গ্রন্থের রচিয়তা মায়া রায়-কে লেখক “সম্মাননা স্মারক” প্রদান করা হয়। কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক মানবর্ধন পাল, ছড়াকার ও বাচিকশিল্পী মোঃ মনির হোসেন, কবি ও লোকসাহিত্য গবেষক মুহিবুর রহিম, কবি, লেখক ও আবৃত্তি শিল্পী আল আমীন শাহীন, কবি ও কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন, কবি আবুল কাসেম তালুকদার, রম্য লেখক পরিমল ভৌমিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক মানিক রতন শর্মা, কবি ও গল্পকার শৌমিক সাত্তার, কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, কবি ও প্রভাষক এমএ হানিফ, কবি রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, কবি গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা, কবি মোঃ তৈয়ব আলী, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, কবি ও লেখক হেলাল উদ্দিন হৃদয়, আবৃত্তিশিল্পী সোহেল আহাদ, ছড়াকার স্বপন মিয়া, কবি ও অবৃত্তিশিল্পী রাকিবুল ইসলাম শুভ, কবি রিপন দেবনাথ, কবি ফাহিম মুনতাসির, কবি মেহদী হাসান, কবি হুমায়রা হিমু, কবি জুবায়ের আহমেদ, কবি সায়ন সাহা নয়ন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাহিত্য একাডেমির আবৃত্তি বিভাগের সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে নানামুখী পদক্ষেপ ও কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে সারাদেশে একটি সুখ্যাতি রয়েছে। নানান প্রতিবন্ধকতা সত্তেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী তাদের নিজেদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাজায় রাখছে, তা নিঃসন্দেহ প্রশংসার দাবীদার। তাই এই জেলার সাহিত্য সংস্কৃতি বিকাশে সরকারের সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তব্য তিনি আরো বলেন, গুণীজনদের সম্মাননা দিলে একদিকে তারা যেমন মযার্দা প্রাপ্ত হন, অপরদিকে অন্যান্যরাও উৎসাহিত হোন। অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক, জাতিসত্তার কবি নুরুল হুদার আহবানে গত ২০ বছর যাবৎ সারাদেশে আন্তর্জাতিক লেখক দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও রাইটার্স ক্লাব জেলা শাখার উদ্যাগে নিয়মিতভাবে লেখক দিবস উদযাপন করা হয়। তিনি ভবিষ্যতে এই সংগঠনের কার্যক্রম আরো প্রসারিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি মায়া রায় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার জন্মভূমি। আমার ছেলেবেলার অসংখ্য স্মৃতি এই জেলার নানা স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমি যত দূরেই থাকি; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতি নাড়ীরটান অনুভব করি। সেই অনুভব থেকে আমার এই বইটি লেখা। বক্তব্য তিনি সম্মাননা পাওয়ায় গৌরব বোধ করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনজন কবির জন্মদিন উপলক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)
Leave a Reply