মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদর থেকে সম্প্রতি থেকে গ্রামের হাটবাজারে, রাস্তার ধারে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠছে অসংখ্য হোটেল রেস্তোরা আর চায়ের দোকান। এ সমস্ত হোটেল রেস্তোরা আর চায়ের দোকানে অস্বাস্থ্যকর আর নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে পঁচা,বাসী নানা জাতের বাহারী আর মুখরোচক খাবার। যেমন পুরি, সিঙ্গারা, চমুচা, লুচি, পিয়াজু জাতীয় নানা রকমের আরো কত খাবার।হোটেল গুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের মালামাল। বাজারে তেলের মুল্য বৃদ্বি পাওয়াতে এ সমস্ত চায়ের দোকান আর হোটেলের রান্নার কাজে খাবার তৈরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে কমদামী, পচাঁ, বাসী আর পুরা জাতীয় তেল।আগের দিনের অবিক্রিত খাবার আবার পরেরদিন নতুন করে পুরা তেলে ভেঁজে নতুন খাবারের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করতেও দেখা গেছে।অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অনেকেই ভুগছে নানা জটিল সমস্যায়।সরেজমিন নাসিরনগরের বিভিন্ন হোটেল ও চায়ের দোকান ঘুরে দেখা গেছে,হোটেল গুলোতে খাবারের সরকারী কোন মুল্য তালিকা না থাকায় ক্রেতাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত মুল্য। দোকান মালিকরা যার যার মত করে ইচ্ছে মত আদায় করে নিচ্ছে খাবারে দাম। কোন ক্রেতা করতে পারছে না কোন প্রতিবাদ।
পঁচা বাসী খাবারের ফলে কি কি রোগজীবানু আর সমস্যার সৃস্টি হতে পারে জানতে চাইলে নাসিরনগর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত চিকিৎসক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় বলেন, পঁচা বাসী আর নোংরা খাবারের ফলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, আমাশয়, বদ হজম, এমনকি কিডনিতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
নাসিরনগরে রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে পুরি-সিঙ্গারা।
এ সমস্ত হোটেল রেস্তোরা বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার উপজেলা প্রশাসনের কোন উদ্যোগ রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন,আমরা ভোক্তাঅধিকার আইনে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছি,এখনো মোবাইল কোর্ট অব্যাহত আছে,গতকাল নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের অপরাধে নাসিরনগর সদরে আধুনিক হাসপাতালের নিকট একটি দোকানকে জরিমানা করেছি, অভিযান আব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply